করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, সার্বজনীন পেনশন চালু, সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, স্থানীয় শিল্প সুরক্ষার মতো অনেকগুলো ইতিবাচক দিক থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেট ভোক্তাবান্ধব হয়নি বলে মন্তব্য করেছে ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা)। ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান সজল বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর খুব বেশি উদ্যোগ প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। মাসের পর মাস মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশেরও বেশি, ডলারের দামও ক্রমাগত বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বললেও সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ ও সংকট উত্তরণের ব্যবস্থা খুবই কম গুরুত্ব পেয়েছে। যা আমাদের দারুণভাবে হতাশ করেছে। আরো বলেন, দুই লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট মূল্যস্ফীতিকে আরো উস্কে দেবে এবং ভোক্তা সাধারণের ওপর দৈনন্দিন জীবনযাপনে চাপ বাড়াবে।
প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে জানাতে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভোক্তার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, ভাইস-চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন নওরোজ, পরিচালক (অর্থ) লুৎফর রহমান লিটন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে খলিলুর রহমান বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের মতো ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও ঘাটতির বড় অংশ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেয়া হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরো বাড়িয়ে দিবে। আর বাজেট ঘাটতির টাকা ব্যাংক থেকে নিলে সেই টাকা বিনিয়োগের বাইরে চলে যাবে। ব্যাংকের টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে। তারা আশা করবেন, সরকার এ বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে।