বেক্সিম গ্রুপের বিলিয়ন ডলার কোম্পানি হতে সময় লেগেছিল ৪০ বছর। আর বিকাশের লেগেছে ১২ বছর। তবে নগদের লেগেছে মাত্র তিন বছর। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক সম্প্রতি রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (জেসিআই) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পলক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ মাত্র তিন বছরে বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আরো অন্তত পাঁচটি ইউনিকর্ন (বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ) বেরিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছেন যে, এখানে মেধাবী ও সাহসী উদ্যোক্তারা ব্যবসা করতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে নেতৃত্ব দান করা সম্ভব। তার বড় উদাহরণ নগদ। তারা যাত্রা শুরু করার মাত্র ৩ বছরে বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য, নগদ এই দ্রুত সাফল্য পাওয়ার পেছনে কাজ করেছে তাদের কিছু প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ই-কেওয়াইসি’র পাশাপাশি কয়েকটি বাটন চেপে অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করেছে নগদ। এতে সয়ংক্রিয়ভাবে ডাটাবেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। ই-কেওয়াইসি প্রচলনে নগদের উদ্ভাবণের কারণেই বাংলাদেশের আর্থিক সেবা খাতে বড় অগ্রগতি এসেছে। দেশের প্রায় সবগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানই এখন এই ই-কেওয়াইসি পদ্ধতি গ্রহণ করেছে এবং তাদের অপারেশনাল খরচ অনেক কমিয়েছে। ফলে অ্যাকাউন্ট খুলতে এখন আর কাগজের ব্যবহার হয় না। অ্যাপ দিয়েই ব্যাংক থেকে শুরু করে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশকে ক্যাশলেস করার পথে এটা অনেক বড় একটা পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। যাত্রা শুরু করার ৪ বছরের মধ্যে এসব প্রযুক্তির কারণে সাড়ে ৭ কোটি গ্রাহকের পরিবারে পরিণত হয়েছে নগদ। এখন তাদের দৈনিক গড় লেনদেন ১ হাজার ২০০ কোটি টাকারও বেশি।