তৈরি পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত যেসব প্যাকেজিং এবং অ্যাকসেসরিজ পণ্য দেশে উৎপাদিত, সেগুলো আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ। এ খাতের জন্য উৎস ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আধা শতাংশ করা এবং এ হার অন্তত আগামী পাঁচ বছর অব্যাহত রাখারও দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় আরো কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। গত শনিবার রাজধানীর ইসিবি চত্বরে বিপিজিএমইএর নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের এসব দাবি তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা সেলিম। সহ-সভাপতি মনির উদ্দিন আহমেদ এবং জহির উদ্দিন আলমগীরসহ অন্য নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা সেলিম বলেন, পোশাক উৎপাদনে প্যাকেজিং এবং অ্যাকসেসরিজের চাহিদার শতভাগ জোগান দিতে সক্ষম স্থানীয় প্রায় আড়াই হাজার কারখানা। তারপরও পোশাক উৎপাদনে এসব পণ্য আমদানি করেন কোনো কোনো পোশাক প্রস্তুতকারক। তিনি বলেন, এ কারণে একদিকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে আমদানি বাবদ বড় অঙ্কের ডলার ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। আবার স্থানীয় অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং পণ্যও অবিক্রীত থাকছে। বস্ত্র ও পোশাক খাতের সহায়ক খাত বিজিএপিএমইএর ভূমিকা তুলে ধরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের অগ্রযাত্রায় অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পে সময় এবং ব্যয়সাশ্রয়ী সরবরাহ করে আসছে। এর ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লিডটাইমের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা পাচ্ছেন উদ্যোক্তা রপ্তানিকারকরা। স্থানীয়ভাবে অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং দেশে উৎপাদিত হওয়ার আগে এসব পণ্য আমদানি করতে অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি লিডটাইমে অনেক পিছিয়ে ছিল দেশের পোশাক খাত। তিনি বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি, রপ্তানি নীতি ও বস্ত্রনীতিতে সমজাতীয় খাতের জন্য সমসুযোগের কথা বলা আছে। অথচ অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাতকে সমান সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে কিছুটা সংকট চলছে। আবার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ কোটি ডলার পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে পরিমাণ অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিংয়ের চাহিদা তৈরি হবে- সে পরিমাণ জোগান দেয়া সম্ভব হবে না।