ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে দশম আন্তর্জাতিক নিরাপদ খাদ্য ফোরাম। গতকাল রোববার সকালে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্য নিরাপদতা সম্পর্কে সচেতনতা এবং এ বিষয়ে পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ক্ষেত্র বৃদ্ধিকরণের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান নিয়ন্ত্রক ও সমন্বয়ক সংস্থার সঙ্গে প্রতি বছর আইএফআইসি এটির আয়োজন করে থাকে। আয়োজিত এ সম্মেলনের লক্ষ্য খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং খাদ্য অপচয় সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য মূল স্টেকহোল্ডার, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং শিল্প নেতাদের একত্র করা।
উদ্বোধনী অংশের পর তিনটি অংশে দুটি করে মোট ছয়টি প্যারালাল প্যানেল সেশন আয়োজিত হবে। যেখানে নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজন সমন্বয়ে মতবিনিময় এবং আলোচনা হবে। পরবর্তী অংশে অস্ট্রেলিয়ান মাস্টার শেষ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার্সআপ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মাস্টার শেফ কিশোয়ার চৌধুরীর অংশগ্রহণের একটি সেশন রাখার আয়োজন করা হবে। এবার এই আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশে আয়োজন করা হচ্ছে, যার শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘কিপিং ফুড সেফ অ্যান্ড নিউট্রিশাস, প্রেভেন্টিং লসেস’। ফোরামটির সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদ। সভাপতি থাকবেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। দশম আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা ফোরামে ২৪ দেশের ৪৩ জন, আইএফসি প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক, শীর্ষ খাদ্য উৎপাদক, নির্মাতা, খুচরা বিক্রেতা, পর্যটন কোম্পানি, কোল্ড চেইন লজিস্টিক সরবরাহকারী, ভোক্তা সংস্থা এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারসহ ৩০০ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এ সম্মেলন কীভাবে বেসরকারি খাতের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা যায় এবং বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তার ক্ষেত্রও তৈরি করবে। আইএফসির নিরাপদ খাদ্য প্রতিনিধি বলেন, এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা এবং জ্ঞান বিনিময় করবে, যা বাংলাদেশে এবং বহির্বিশ্বে খাদ্য খাতকে উন্নত করতে সাহায্য করবে। খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য বৈশ্বিক ক্ষুধা ও মানবউন্নয়ন সূচকে র্যাঙ্কিং উন্নত করতে, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করে কীভাবে খাদ্যের মান উন্নত করে এবং অপচয় কমিয়ে রপ্তানি সুবিধা বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।