ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি দ্বন্দ্ব

মূল কারণ জ্বালানি তেল উৎপাদন

মূল কারণ জ্বালানি তেল উৎপাদন

রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পর থেকেই দেশটির বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা এক ধরনের অর্থনৈতিক যুদ্ধে রূপ নেয়। রাশিয়ার আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস জ্বালানি তেল ও গ্যাস। তাই যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর লক্ষ্যবস্তু হয় দেশটির তেল-গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করা বা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়ে দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে দেওয়া। কিন্তু আমেরিকা ও ইউরোপের সেই লক্ষ্যে বাগড়া দেয় সৌদি নেতৃত্বাধীন তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস।

ওপেক প্লাস দেশগুলো গত বছর জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর পরিণতি ভোগ করার হুমকি দেন। এর বিপরীতে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানও অপ্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেন। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যের নথি থেকে এই প্রতিবেদন করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ফাঁস হওয়া এসব গোপন নথি এখন বিভিন্ন মার্কিন মেসেজিং অ্যাপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই সবের মধ্যে এটিও একটি বলে বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। মূলত, যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ওপেক দেশগুলো উৎপাদন বাড়িয়ে বাজারে রাশিয়ার তেলের বিকল্পব্যবস্থা করবে। কিন্তু তা না করে সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো উল্টো তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বিশ্ববাজারে একদিকে দাম বাড়তে থাকে, অন্যদিকে রাশিয়ার তেলের চাহিদাও আরো বেড়ে যায়। ফাঁস হওয়া গোপন নথি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, সৌদি আরব এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করেন বাইডেন এবং তাকে এই চিন্তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বলেন, সৌদি সরকার যদি তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তার ‘পরিণতি’ সৌদিকে ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে বাইডেনের এই হুঁশিয়ারিতে দমে না গিয়ে পাল্টা জবাবে যুবরাজ বলেন, তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্তকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র যদি সৌদির বিরুদ্ধে কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় সে ক্ষেত্রে দেশটির সঙ্গে যাবতীয় অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে সৌদি এবং সে ক্ষেত্রে তা ওয়াশিংটনের জন্য আরো বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত