বাংলাদেশকে ৪ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গত মঙ্গলবার ফিলিপাইনে এডিবির প্রধান কার্যালয়ে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে বলে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। মহামারি-পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু করা দ্বিতীয় কর্মসূচির আওতায় এ ঋণ দেয়া হচ্ছে। এডিবি জানায়, বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে এ ঋণ দেয়া হচ্ছে। কোভিড অতিমারির পর অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু হওয়া এডিবির কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশ এ সহায়তা পাচ্ছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে সংস্কার এগিয়ে নিতে, সরকারি ব্যয় ও কেনাকাটায় স্বচ্ছতা বাড়াতে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে সংস্কার ত্বরান্বিত করতে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায় কম সুদের ঋণের ব্যবস্থা করা এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার বাংলাদেশের অর্থনীতি সাম্প্রতিক সময়ে চাপের মুখে আছে। এডিবির বাজেট সহায়তা রিজার্ভ কিছুটা বাড়াতে সহায়তা করবে। বাজেট সহায়তা হলো এক ধরনের ঋণ, যা নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পের বাইরে সরকারের অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীরা দিয়ে থাকে। এডিবি বলেছে, দেশীয় সম্পদ সংগ্রহে সংস্কারের অগ্রগতি, জনসাধারণের ব্যয়ের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে এবং ছোট ব্যবসা, বিশেষ করে নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়গুলোকে স্বল্প খরচে অর্থ পেতে সহায়তা করতে বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ঋণ বিষয়ে এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান জনব্যবস্থাপনা বিষয়ক অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমানের ভাষ্য, ‘এই ঋণ বাংলাদেশকে রাজস্ব বাড়াতে, সরকারি ব্যয় ও পাবলিক প্রকিউরমেন্টে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরকে ব্যাংকিং খাত থেকে স্বল্প সুদে সাশ্রয়ী মূল্যের ঋণ পেতে সাহায্য করবে।’ এবিডির এই কর্মসূচিটি জেন্ডার, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাইজেশনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়, যার মাধ্যমে সরকারের দরিদ্র ও দুর্বলদের জন্য আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করার প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতে সক্ষম করে।’