কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে লবণ সংকট হবে না : বিসিক

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর লবণ মৌসুমে দেশে উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৩ হাজার টন, যা বিগত ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশে এখন লবণের মজুত রয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার টন। কোরবানির চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রয়োজন হবে ১ লাখ টন। ফলে এ বছর ঈদুল আজহায় কোরবানিকরা পশুর চামড়া স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক)। গতকাল আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানিকরা পশুর চামড়া স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে বিসিক কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন শীর্ষক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। বিসিকের বোর্ডরুমে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জানানো হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী গত পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি লাখ। সে হিসেবে লবণের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৭ হাজার ৬৮০ টন। এ বছর সর্বোচ্চ ১ লাখ টন লবণের চাহিদা থাকবে। মাঠ পর্যায় থেকে কোরবানিযোগ্য প্রাণির সংখ্যার প্রকৃত তথ্য পাওয়া গেলে প্রকৃত লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বিসিককে কোরবানিযোগ্য প্রাণির সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করবে। এসময় বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এতে দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষা পাবে। সভায় চালু লবণ মিলের তালিকা ডিলার/পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের কাছে পাঠানো এবং হালনাগাদকরা ডিলার/পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের তালিকা স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণকারীদের কাছে সরবরাহ করার জন্য বিসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া বিসিক আঞ্চলিক এবং জেলা কার্যালয়সমূহে কোরবানির চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও লবণ সরবরাহ নিশ্চিত মনিটরিং টিম গঠন, জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে লবণ ও চামড়া সংক্রান্ত সভা আয়োজন, চামড়া সংরক্ষণ পদ্ধতি বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার প্রচারণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।