ঋণের নামে প্রায় ২৬৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্তে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আফরোজা হক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমকে আব্দুল মান্নান বলেন, এগুলো হয়রানিমূলক। যারা এই কোম্পানিটা (বিআইএফসি) প্রথমে দখল করতে চেয়েছে, তারাই দুদকে অভিযোগ দিয়েছে। পিকে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) এই ঘটনার সবচেয়ে বড় মাস্টারমাইন্ড। দুদক নকল কাহিনী নিয়ে সময় নষ্ট করছে। তিনি বলেন, দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংক যাদের ডেকেছে (প্রতিবেদনে) তাদের বক্তব্যই ফুটে ওঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছিলাম আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের ডাকুন। তাদের বক্তব্যটা আসুক। কিন্তু সেই বক্তব্যটা আসেনি। সুতরাং, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া। বিষয়টি আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের পরিপন্থি। তাদের স্বার্থ এখানে সংরক্ষিত হয়নি।’ মান্নান বলেন, পিকে হালদার ‘শুকজা ভেনসার’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি দেখিয়ে খোলাবাজার থেকে ৫ শতাংশ শেয়ার কেনেন। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম শাহ আলমের সহায়তায় বিআইএফসিতে দুই ডিরেক্টর নিয়োগ দেন; যা সম্পূর্ণ বেআইনি। পিকে হালদার, রুহুল আমিন এবং শাহ আলম মিলে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন। মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ার কিনে আমাদের ৯৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের পরিচালনা পর্ষদ পুরো দখলে নেয়। পরে একে একে তাদের সব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। বিআইএফসির সব টাকা পিকে হালদার লুট করেছে দাবি করে মান্নান বলেন, পিকে হালদার এবং তার লোকেরা আমাদের বরখাস্ত করে ৫ বছর বিআইএফসি দখলে রাখে। ওই সময়ে সে (পিকে হালদার) বিআইএফসি লুট করে সব টাকা নিয়ে গেছে। আমাদের কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সব টাকা যে নিয়ে গেল, তার বিচার হচ্ছে না। বিআইএফসির দুর্নীতিতে মোট ১১টি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত মেজর (অব.) এমএ মান্নান ও তার স্ত্রী-কন্যা, পরিবারসহ বিআইএফসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে ও ৯টি মামলা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।