ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে অবৈধ পথে কোনোভাবেই ভারত থেকে কোরবানির পশু আনা যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী আরো বলেন, অবৈধ পথে পশুর প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এ বছরও রেলপথে কোরবানির পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী জানান, ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৯টি পশু দরকার। এই মুহূর্তে কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি পশু রয়েছে। ঈদুল আজহায় সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার। এর বিপরীতে কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি পশুর। সে হিসাবে চলতি বছর ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি কোরবানিযোগ্য পশু বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার সকালে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। রেজাউল করিম বলেন, দেশে কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। গত চার থেকে পাঁচ বছরের মতো এবারও দেশে উৎপাদিত গবাদিপশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বিদেশ থেকে পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্তপথে যেন অবৈধভাবে গবাদিপশু আসতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এরই মধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, এ বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি, যা গত বছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি। এ বছর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু ও মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে। রেজাউল বলেন, এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি।