চলতি সপ্তাহের প্রথম চার কার্যদিবস সূচক নিম্নমুখী হলেও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। বেড়েছে সব সূচকের মান। তবে উভয় শেয়ারবাজারেই কমেছে লেনদেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস শেষে এ তথ্য জানা যায়। ডিএসইর বাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৮০ দশমিক ০১ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৫ দশমিক ১৭ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ পয়েন্ট। সূচকটি অবস্থান করছে ২ হাজার ১৮২ দশমিক ৫০ পয়েন্টে। তবে ডিএসইতে এদিন কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৪৬৫ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার। আর গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন কমেছে ২৫৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এছাড়া বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৯টি কোম্পানির, কমেছে ৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। এ ছাড়া নাভানা ফার্মা, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সি পার্ল, জেনেক্স ইনফোসিস, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়। অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতেও এদিন বেড়েছে সবগুলো সূচকের মান। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট ও সিএসসিএক্স সূচক ৬ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৬০ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে ও ১১ হাজার ১০২ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৮ পয়েন্ট। সূচক অবস্থান করছে ১ হাজার ১৬৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। আর সিএসই-৫০ সূচক শূন্য দশমিক ৬৫ পয়েন্ট ও সিএসই-৩০ সূচক ২৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩০৯ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট ও ১৩ হাজার ৩৭০ দশমিক ২ পয়েন্টে। তবে সিএসইতে এদিন কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার। আর গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৭৩ লাখ। লেনদেন কমেছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা।