কোরবানির পশুর হাট

জাল নোট শনাক্তে থাকবে ব্যাংকের বুথ

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সারা দেশে সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট প্রতিরোধে ব্যাংকের বিশেষ বুথ বসবে। এসব বুথে জাল নোট শনাক্ত করার মেশিন বসানোসহ অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ফি ছাড়াই হাট চলাকালে সারাক্ষণ এসব বুথের সেবা চালু রাখতে হবে। এর আগেও ব্যাংকগুলো কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট প্রতিরোধে সীমিত আকারে বিশেষ বুথ স্থাপন করত। এবারে সারা দেশে সব সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটগুলোয় বুথ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের কোনো সংস্থার অনুমোদন নেই এমন কোনো হাটে অবশ্য ব্যাংকের বুথ থাকবে না। ঢাকাসহ সারাদেশের (উপজেলা সদর পর্যন্ত) অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট চক্রের অপতৎপরতা রোধে ব্যাংকগুলোকে বুথ স্থাপন করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত এসব বুথ থেকে বিনামূল্যে নোট যাচাই সেবা চালু রাখতে বলা হয়েছে। বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। এতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত ১৯টি পশুর হাটে কোথায় কোন ব্যাংক দায়িত্ব পালন করবে, তার একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা রয়েছে, সেখানে ওইসব অফিস থেকে কোথায় কোন ব্যাংক দায়িত্ব পালন করবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। অন্য জেলাগুলোতে সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে দায়িত্ব বণ্টন করে দিতে হবে। প্রতিটি জাল নোট শনাক্তকরণ বুথে নোট গণনার মেশিন রাখতে হবে। প্রতিটি শাখায় স্থাপিত টিভি মনিটরে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বুথ স্থাপনের সুবিধার্থে ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, জেলা মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। কোনো জাল নোট ধরা পড়লে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট : পবিত্র ঈদুল আজহার আর বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। এবার অস্থায়ী ও স্থায়ী ১৯টি কোরবানির পশুর হাটের জায়গা চূড়ান্ত করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এই প্রতিবেদেনে রাজধানীর যেসব স্থানে এই ১৯টি হাট বসছে, সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে গাবতলীর পাশাপাশি ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশেন ৯টি এবং দক্ষিণে বসছে আরো ৯টি হাট। এরই মধ্যে ঢাকা দুই সিটির বিভিন্ন হাটের স্থান সুনির্দিষ্ট করার পাশাপাশি তা ইজারা দেয়া হয়েছে। এই ১৯টি পশুর হাটের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া হাসিল কক্ষ ও প্রধান ফটক নির্মাণের কাজও চলছে।

ঢাকার উত্তরে গাবতলীসহ ১০টি হাট বসছে। সেগুলো হচ্ছে- ১. গাবতলী গবাদিপশুর হাট (স্থায়ী হাট)। ২. দক্ষিণখানের কাওলা শিয়াল ডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা। ৩. উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা। ৪. ভাটারা (সাঈদ নগর) পশুর হাট।

৫. মোহাম্মদপুর বছিলা এলাকার ৪০ ফুট সড়কসংলগ্ন রাজধানী হাউজিং ও বছিলা গার্ডেন সিটির খালি জায়গা। ৬. বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাব নগরের ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ পর্যন্ত অংশের খালি জায়গা। ৭. মিরপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর সেকশনের (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা।

৮. ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কাচকুড়া ব্যাপারীপাড়ার রহমান নগর আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা। ৯. ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের খালি জায়গা। ১০. খিলক্ষেত খাঁপাড়া উত্তর পাশের জামালপুর প্রোপার্টিজের খালি জায়গা।

দক্ষিণের এলাকাগুলোয় এবার ৯টি কোরবানির পশুর হাট বসছে। সেগুলো হচ্ছে- ১. ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা। ২. পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। ৩. খিলগাঁও মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। ৪. যাত্রাবাড়ী ধনিয়া কলেজসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। ৫. ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা।

৬. লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।৭. আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা।৮. খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।

৯. লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা।