ঈদের আগে অতিরিক্ত দামে চিনি বিক্রি করলে ব্যবস্থা
বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে কিনা, তা মনিটরিং করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে ট্যারিফ কমিশনকে বলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে দেশের চিনির দামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মূল্যের কিছুটা পার্থক্য আছে। সেটা আমরা সমন্বয় করব। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য ট্যারিফ কমিশনকে বলা হয়েছে।’ ঈদের আগে দাম বাড়ানো বা কমানো নিয়ে আর বসার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু চিনি আমদানিতে কিছুটা খরচ বাড়ছে, সেহেতু ঈদের পর চিনির দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তখন দাম সমন্বয় করা হবে। মন্ত্রী বলেন, এখনই চিনির দাম বাড়াতে চাই না। ভোক্তা অধিকারকে বলব, তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। কেউ ঈদের আগে অতিরিক্ত দামে চিনি বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, চিনির ওপর যে শুল্কহার নির্ধারণ করা আছে, তা কমানো অথবা ছাড় দেয়ার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করা হবে। এটা করা হলে চিনির দাম কিছুটা কমানো সম্ভব হবে। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেসব পণ্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজারে বিক্রি করতে হয়। এছাড়া, নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চিনির ওপর যে শুল্কহার নির্ধারণ করা আছে তা কমানো অথবা ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করব। এটা করা হলে চিনির দাম কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।’ টিপু মুনশি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং হ্রাস করা মূল্যে তেল বিক্রি হচ্ছে। সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে।