প্রতিবছরই বাড়ছে আম রপ্তানি। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও বাংলাদেশের আম যাত্রা করছে। ব্যবসা হচ্ছে কোটি কোটি টাকার। আমের বিদেশ যাত্রায় হিমসাগর, ল্যাংড়া, বারি ফোর, কাটিমন, হাড়িভাঙ্গার সঙ্গে নাম লেখাচ্ছে বাহারি নামের হরেক স্বাদের আম। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এরই মধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে মধ্য প্রাচ্যে রপ্তানি শুরু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে চাহিদাও। তবে উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানি অনেক কম। রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনে তাই এগিয়ে এসেছে সরকারও। চাষীদের দেয়া হচ্ছে নানা সহযোগিতা। ২০১৯ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে আম রপ্তানি বাড়ছে দ্বিগুণেরও বেশি হারে। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৭৯১ মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টনে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার মেট্রিক টন। দেশে গত বছর আম উৎপাদন হয়, প্রায় ২৫ লাখ টন। তবে সব আমই রপ্তানি যোগ্য নয়। এর জন্য মুকুল থেকে পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত নিতে হয় বিশেষ যত্ন। এমনই একজন উদ্যোক্তা নওগাঁর সাপাহারের ইমামুল। ২১০ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন আমের সাম্রাজ্য। এবার প্রায় ৮ হাজার মণ আম উৎপানের আশা করছেন তিনি। যার বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকার বেশি। তবে আম জীবাণুমুক্ত করে প্যাকেটজাত করার এক মাত্র কারখানা ঢাকার শ্যমপুরে হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় উদ্যোক্তরা। তাই আম উৎপাদিত জেলায় একটি করে আঞ্চলিক প্যাকেটজাত কারখানা করার দাবি বাগান মালিকদের। আগামী আম মৌসুমের আগেই এই সমস্যা দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক। আম রপ্তানিতে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আসতে মন্ত্রণালয়ের বড় পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের প্রকল্প পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের আমের স্বাদ অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। তাই আমের স্বাদ আর মান ধরে রাখতে পারলে বাইরের দেশ আমাদের দেশের আম বেশি কিনবে। জানান, দেশের ৯৬০ জন চাষিকে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনে সহায়তা দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।