ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র

ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন পুতিন
সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। গতকাল শনিবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, অবশেষে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। উল্লেখ্য, পাবনার এই প্রকল্পটি থেকে পরমাণু বিদ্যুতের দুটি ইউনিটের মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্মাণকাজ প্রায় শেষদিকে। সময়মতোই বৃহৎ এই প্রকল্পটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিজ্ঞানমন্ত্রী।

এদিকে পরমাণু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পাবনার রূপপুরের মাটিতে প্রায় এক দশক থেকে চলছে নির্মাণের মহাযজ্ঞ। এই মেগা স্থাপনার নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষদিকে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটি বহুমাত্রিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে একদিকে দেশ যেমন বিজ্ঞানের উৎকর্ষে নতুন স্তরে উন্নীত হবে, তেমনি নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের অনন্য উৎস হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে পরমাণু সমৃদ্ধ দেশগুলোর এলিট প্ল্যাটফর্ম বা নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হিসেবে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রটির ভি-ভি-ই-আর টুয়েলভ হান্ড্রেড টাইপের দুটি রিয়্যাক্টর থেকে উৎপাদিত হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ। চালু হলে অন্তত ৮০ বছর ধরে টানা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব এই প্ল্যান্ট থেকে। অতি-বৈজ্ঞানিক স্পর্শকাতর এই স্থাপনাটি নির্মাণে কারিগরি সহায়তা ও আর্থিক ব্যয়ের বেশিরভাগই আসছে রাশিয়া থেকে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ব পরমাণু সংস্থা রোসাটম এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট এটির নির্মাণ প্রায় শেষদিকে নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের অক্টোবরে নিউক্লিয়ার জ্বালানি বা ইউরেনিয়াম আসার কথা রয়েছে রূপপুরে। মহামূল্যবান এই জ্বালানি পণ্য সংরক্ষণে এরই মধ্যে সাপোর্ট স্ট্রাকচার ও ফ্রেশ ফুয়েল স্টোরেজ ও রয়ুয়েল স্টোরেজের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে, জানা গেছে প্রকল্পসূত্রে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত