ঈদের প্রথম দুই দিনে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ পিস চামড়া ট্যানারিতে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ। গতকাল শনিবার ধানমন্ডির ইমপেরিয়াল আমিন আহমেদ সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বিটিএ চেয়ারম্যান বলেন, গত দুই দিনে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ পিস চামড়া ট্যানারিগুলোতে সংগ্রহ করা হয়েছে। আর সারাদেশ থেকে চলতি বছর ৯০ থেকে ৯৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ হবে।
সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর অব্যবস্থাপনা ও রপ্তানি প্রসঙ্গে সংগঠনের চেয়ারম্যান বলেন, পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এদিকে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে প্রতিশ্রুতি মতো পরিবেশবান্ধব তৈরি না করা হলে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিএ।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কমপ্লায়েন্স শিল্পনগরী গড়ে তোলা গেলে আন্তর্জাতিক সনদ নিয়ে বাজার ধরতে পারবে বাংলাদেশ। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব। উল্লেখ্য, সাভারের ট্যানারি শিল্পনগরীসহ সারাদেশেই চলছে চামড়া সংরক্ষণের প্রক্রিয়া। তবে ঈদের ছুটি থাকায় বেশিরভাগ ট্যানারি এখনো সংরক্ষণের কাজ পুরোপুরো শুরু করেনি। এদিকে পোস্তার আড়তে কোরবানির পশুর চামড়া মানভেদে প্রতি পিস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে। তবে ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কেনা চামড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার বাইরের বেপারীরা বলেন, আড়তদাররা সিন্ডিকেট করায় চামড়ার দাম মিলছে না। ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কেনার পর, ঢাকায় দাম বলছে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। এতে লোকসান হচ্ছে। বেপারী আকমল বলেন, তিনটি চামড়া মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে দাম নিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পোস্তার আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা বলেন, একটি চামড়া ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পরে নিয়ে এলে মান ভালো থাকে না।
এর জন্য এ ধরনের চামড়া কেনা হয় না। তবে যারা কেনেন, তারা দাম কম দেন। সাভার শিল্পনগরীর আশপাশের আড়তেও চলছে কাঁচা চামড়ার বেচাকেনা। সেখানেও ভালো দাম না পাওয়ার কথা জানান মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ঈদের দিনে ভালো দাম থাকলেও; সন্ধ্যার পর থেকে তা কমতে শুরু করে।