পবিত্র ঈদুল আজহার চার দিনের ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। আজ রোববার খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে বৃহস্পতিবার পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের ছুটি এক দিন বাড়িয়ে চার দিন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ঈদ উপলক্ষ্যে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত (মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) চার দিন ছুটি ছিল। এর পরের দিন ১ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এবারের ঈদের ছুটি হয় পাঁচ দিন। টানা পাঁচ দিন ঈদের ছুটি শেষে আজ রোববার অফিসে যোগ দেন কর্মজীবীরা। খুলছে ব্যাংক-বিমা, অফিস-আদালত, শেয়ারবাজার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে যারা ঢাকার বাইরে ঈদ করতে গেছেন সরকারি-বেসরকারি বেশিভাগ কর্মজীবী তাদের অনেকে এক দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস আদালত পুরোপুরি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হতে আরো দুই-তিন দিন লেগে যাবে। তখনই রাজধানী ফিরবে আগের রূপে।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে সাধারণত ঈদের আগেই বাড়ি যান রাজধানীর মানুষ। কিন্তু এবারের চিত্রটা একটু ভিন্ন। ঈদের দিনেও ঢাকা ছেড়েছেন ২৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ সিম ব্যবহারকারী। সব মিলিয়ে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ও এর আগের দুই দিনসহ (মঙ্গলবার ও বুধবার) তিন দিনে মোট ঢাকা ছেড়েছে ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে তিন দিনে ঢাকায় ঢুকেছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬ সিম ব্যবহারকারী। গত শুক্রবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আগেও দেখা গেছে ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে অফিসগুলোতে তেমন কর্মব্যস্ততা থাকে না। সহকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে ব্যস্ত থাকেন। একইভাবে ব্যাংকপাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লেনদেনও খুব একটা হয় না। গত মঙ্গলবার থেকে ঈদের ছুটি কার্যত শুরু হয়। পোশাক কারখানার বেতন-ভাতা পরিশোধ ও কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধার্থে ঈদের ছুটির মধ্যেও মঙ্গলবার ও বুধবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংক খোলা ছিল। দুই দিন রাজধানীর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পশুর হাট সংলগ্ন ব্যাংকের শাখাগুলো সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হয়। এছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে ওই দিন শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকায়ও ব্যাংক খোলা ছিল।