বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
দ্রুত লেনদেন বাড়ছে আরটিজিএসে
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তঃব্যাংক তাৎক্ষণিক লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট-আরটিজিএসে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে গত মে মাসে। গত মে মাসে আরটিজিএসে মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৩১ কোটি টাকা পরিশোধ হয়েছে। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড ছিল গত বছরের জুনে। ওই মাসে লেনদেন হয় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মে মাসে এ ব্যবস্থায় লেনদেন হয় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। এর মানে চলতি বছরের মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা বা ৪৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর চলতি বছরে এপ্রিল মাসে লেনদেন হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। এ বছরের এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে বেড়েছে ৯৮ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা বা ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ। এক লাখ টাকার বেশি অঙ্কের লেনদেন তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তির সুবিধার জন্য ২০১৫ সালে আরটিজিএস ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তী সময়ে কাস্টমসের যে কোনো অঙ্কের আদায় এ ব্যবস্থায় করা হচ্ছে। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে দেশের ভেতরে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। আরটিজিএস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে টাকার পাশাপাশি গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ইউএস ডলার, পাউন্ড, ইউরো, কানাডিয়ান ডলার ও ইয়েন- এই পাঁচটি বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন নিষ্পত্তি করা যায়। এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে মুদ্রাভিত্তিক তথা ডলারের বিপরীতে ডলার, ইউরোর বিপরীতে ইউরো, ইয়েনের বিপরীতে ইয়েন- এভাবে লেনদেন নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। বৈদেশিক মুদ্রায় শুরু থেকে গত মে পর্যন্ত ৯ মাসে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এর মধ্যে গত মে মাসে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে পরিশোধ হয়েছে ১৬৪ কোটি ডলার। আগের মাস এপ্রিলে পরিশোধ হয় ১৪৬ কোটি ডলার। এ ব্যবস্থা চালুর প্রথম মাস গত সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয়েছিল মাত্র ৭৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে এক মাসে সর্বোচ্চ ১৮৮ কোটি ডলার লেনদেন হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ডলার লেনদেন হয় গত মার্চে। ডলার সংকটের কারণে বিভিন্ন উপায়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ সামগ্রিকভাবে অনেক কমেছে। তা না হলে লেনদেন আরো বেশি হতো বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে এক শাখা থেকে আরেক শাখার গ্রাহকের লেনদেন নিষ্পত্তি করে।