চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের নির্দেশনা দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। নির্দেশনায় কয়েকটি খাতে ব্যয় বন্ধসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় কমানোর কথা বলা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ অর্থের অন্তত ২৫ ভাগ সাশ্রয় করতে হবে। এমনকি জ্বালানি তেলেও ২০ ভাগ সাশ্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। অর্থবছরের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। এছাড়া আবাসিক এবং অনাবাসিক খাতে কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারবে না সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান। এমনকি গাড়িও কিনতে পারবে না। তবে কোনো গাড়ির আয়ুষ্কাল ১০ বছর পার হলে প্রয়োজনে তা প্রতিস্থাপন করা যাবে। তবে এজন্য আগেই অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে-
>> পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপ, ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্স অধ্যায়।
>> বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণ।
>> সরবরাহকারী, ঠিকাদার, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা কর্তৃক সেবা বা পণ্যের গুণগত মান নিরীক্ষা বা পরিদর্শন।
বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করাসহ চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে কতিপয় খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ে সরকার বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিচালন বাজেটের আওতায় ব্যয় কমাতে আরো যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার-
>> বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। >> পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।