নারায়ণগঞ্জ শহরের দ্বিগুবাবুর বাজারে কাঁচা মরিচ অতিরিক্ত দামে বিক্রির খবরে মনিটরিংয়ে অভিযান চালিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় ব্যবসায়ীদের ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় করতে দেখা যায়। ফলে কম দামে নিত্যপণ্যটি কিনতে ক্রেতারাও দোকানগুলোতে ব্যাপক ভিড় জমান। গত সোমবার সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ক্যাব প্রতিনিধি ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ক্রেতারা জানান, কিছুক্ষণ আগেও ২৫০ টাকা দরে এরাই কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন। তবে পুলিশের অভিযানের খবরে শাস্তি থেকে বাঁচতে কম দামে দিতে শুরু করেন তারা। গতকালও ১ হাজার টাকা কেজি নিত্যপণ্যটি বিক্রি হচ্ছিল। এদিন বাজারে এসে দেখলাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান জানান, বাজারের বিভিন্ন দোকানে কাঁচা মরিচ কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। এ সময় তাজুল ইসলাম নামে এক দোকানি ২৬০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, ওই দোকানির কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি কত টাকা কেজি দরে কিনেন? আর কত টাকায় বিক্রি করছেন? উনি বলেন, পাইকারি ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনেন। পরে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ সময় তার কাছে মরিচ কেনার রশিদ দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি। সেলিমুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত দামে মরিচ বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে তাজুলকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে উনি ৬০ টাকা কমিয়ে ২০০ টাকায় বিক্রি করা শুরু করেন। একপর্যায়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের টিম দেখে পাশে দুই দোকানি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। টিমের উপস্থিতিতে প্রায় শতাধিক ক্রেতা ১০০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনেন। অন্যদিকে একই বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এক মুদি দোকানিকে ১ হাজার টাকা, একটি খাবার হোটেলকে ৩ হাজার টাকা এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন, পণ্যের গায়ে উৎপাদনের তারিখ ও দাম লেখা না থাকায় বেশ কিছু ঘি জব্দ করা হয়।