ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চামড়াজাত পণ্যে আয় বাড়ল ১৭%

চামড়াজাত পণ্যে আয় বাড়ল ১৭%

তৈরি পোশাক খাতের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়ের খাত চামড়া, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য। সদ্যবিদায়ি অর্থবছরে (২০২২-২৩) চামড়া ও পাদুকা রপ্তানিতে আয় কমলেও বেড়েছে চামড়াজাত অন্যান্য পণ্যে। গেল অর্থবছরে বেল্ট, মানিব্যাগ, লেডিস ব্যাগ, পার্স, ছেলেদের ব্যাগ ও জ্যাকেট ইত্যাদি পণ্য থেকে আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বার্ষিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিদায়ি অর্থবছরে চামড়া, চামড়ার তৈরি জুতা ও চামড়াজাত অন্যান্য পণ্য থেকে মোট রপ্তানি আয় এসেছে ১২২ কোটি ডলার, যা আগের বছরে ছিল ১২৪ কোটি ৫১ লাখ ডলার। সেই হিসাবে মোট রপ্তানি আয় কমেছে ১.৭৪ শতাংশ। এর মধ্যে চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ৬.৯৩ শতাংশ এবং চামড়ায় কমেছে ১৮.৪৫ শতাংশ। তবে চামড়াজাত অন্যান্য পণ্য থেকে আয় বেড়েছে ১৭ শতাংশ। লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিশেন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি মো. নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও পুরো চামড়া খাতের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা না গেলে সামনে আরো বেশি সংকট তৈরি হতে পারে। এজন্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের সাভারের চামড়া পল্লির কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) পুরোপুরি কার্যকর করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনেই উদাহরণ রয়েছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সিইটিপি। ইউরোপের কারিগরি সহযোগিতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।’ এছাড়া বিশেষায়িত কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদ্যবিদায়ি অর্থবছরে চামড়া ও চমড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ১২২ কোটি ডলার, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ১০২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত ৫ বছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৯.৬০ শতাংশ। ইপিবির তথ্য মতে, গত ৫ বছরে চামড়াজাত পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬২.৫০ শতাংশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত