ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বর্ষপণ্য হয়েও রপ্তানিতে সফলতা নেই

পাটপণ্য রপ্তানিতে বিপর্যয়ের শঙ্কা

পাটপণ্য রপ্তানিতে বিপর্যয়ের শঙ্কা

দেশে ১৩ থেকে ১৪ লাখ একর জমি থেকে প্রতি বছর ৯ ধেতে ১০ লাখ মেট্রিক টন পাট উৎপাদিত হয়। পাট খাতের বৈশ্বিক রপ্তানি আয়ের ৭২ শতাংশ এখন বাংলাদেশের। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এ সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়ন আরো বেগবান করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল গঠন করেছে। সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি বাড়ছে। তবে তাল মেলাতে পারছে না পাট ও পাটজাতপণ্য। চলতি অর্থবছরে পাটের রপ্তানি কমেছে ১৮ শতাংশ। এমন বাস্তবতায় পাটের ওপর ভারত অ্যান্টি-ডাম্পিংয়ের মেয়াদ বাড়িয়েছে। তবে পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণা করায় নতুন আশাও দেখছেন তারা। ২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি হয় ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের। পণ্যটি বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করায় আশাবাদী হয়ে উঠেছিলন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের চিত্র হতাশ করেছে তাদের। এ সময় রপ্তানি হয়েছে ৪৮৫ মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য। দেশের ৪০ থেকে ৪৫ লাখ চাষি প্রত্যক্ষভাবে পাট চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং পাটচাষ, পাট প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট ও পাটজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে প্রায় ৪ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩-৪ শতাংশ আসে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে। বিশ্বে পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় হলেও পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রথম এবং সবচেয়ে ভালো মানের পাট আমাদের দেশেই উৎপাদিত হয়। বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী পাটপণ্যের চাহিদা ব্যাপকহারে বাড়ায় পাট ও পাটপণ্যের সুদিন ফিরে এসেছে। ২০২০ সালের ২ জুলাই সরকার একযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। গত ৫০ বছরে ৭৮টি পাটকলে যেখানে লোকসানের পরিমাণ ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (বছরে ২০০ কোটি টাকার বেশি), সেখানে বিদ্যুৎ খাতের রেন্টাল সেক্টরে গত এক বছরে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। বন্ধ করে দেওয়া হয় ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল। ফলে কর্মহারা হন ৭০ হাজার শ্রমিক। ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, বগুড়া পাটের প্রধান এলাকা। এই পাট বিক্রির টাকা দিয়ে কৃষক সংসারের খরচ মেটান, আমন ধানের আবাদ করেন, আশ্বিন-কার্তিক মাস থেকে জমি লিজ বা চুক্তি নেওয়ার টাকা জোগাড় করেন, রবি মৌসুমে আবাদের প্রস্তুতি ইত্যাদি করে থাকেন। এবার সেখানেই টান পড়েছে। সমস্যা বহুমাত্রিক। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে পরিমাণ তেমন বাড়েনি, দাম বেড়েছে। ২০২০ সালে বন্যার কারণে ৪৫ শতাংশ পাঠ নষ্ট হয়। এর ফলে তখন পাটের দাম বেড়ে যায়। ২০২১ সালে বন্যা হয়নি, পাটের উৎপাদন ভালো হয়েছে। পাটের দামও বেড়েছে। তাই আমরা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বেশি দাম চাইতে পেরেছি। কোভিডের কারণে সবাই ঘরমুখী হয়েছে। পাটজাত পণ্য কিনতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তাই বিদেশে পাটজত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এসব কারণে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। কিন্তু গতবছর বন্যা হওয়ায় সমস্যাটা প্রকট হয়। কাঁচা পাটের চেয়ে পাটজাতপণ্যের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হয়। কারণ, পাটজাত পণ্যে মূল্যসংযোজন বেশি হয়। সঠিকভাবে পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ করে রপ্তানি করতে পারলে প্রতি বছর ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বর্তমানে পাটজাত পণ্যের নির্দিষ্ট কোনো এইচএস কোড নেই। ফলে রপ্তানি প্রক্রিয়ায় নানা সমস্যা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে এ খাতের ৮০ শতাংশ রপ্তানি হয় কাঁচা পাট। রপ্তানি ঝুড়িতে কাঁচা পাটের চেয়ে পাটজাত পণ্যের অংশ বাড়াতে হবে। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। পাট চাষের অর্থনীতি এমনিতেই জটিল। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার তারতম্য, বীজের গুণাগুণ, পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণ, তার ওপর পানির অভাবে পাট পচানোর বাড়তি ঝামেলা পাট চাষকে কঠিন ও প্রায় অলাভজনক করে তুলেছে। ফরিদপুর অঞ্চলের ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে ব্যাপক আলাপ ও প্রত্যক্ষ করে দেখেছি, এবার জমি চাষ, বীজ, সার, কীটনাশক ওষুধ, নিড়ানি, টানা-বাছা, পাট কাটা, জাগ দেওয়া, নোয়া ধোয়া, ভ্যানভাড়া, শুকানো- সব মিলিয়ে শ্রমিকের মজুরি খরচই প্রায় ৮৫ শতাংশ পড়ছে। মোটামুটি হিসাবে দেখা যায়, এক মণ পাট করতে কমপক্ষে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে বর্তমানে বাজার মূল্য মানভেদে ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। তাহলে কৃষকের কী থাকে? এবার পাটের ফলনও বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৪ মণের বেশি হবে না। সর্বোচ্চ ১৫ মণ। পাটের ভরা মৌসুম সামনে। দাম কী হবে, তা নিয়ে পাটচাষিরা চিন্তায় পড়েছেন। সোজা হিসাব, শ্রমিকের যে চড়া মজুরি এবং খালবিল যেভাবে শুকিয়ে গেছে, তাতে পাটের দাম প্রতি মণ ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা না হলে কৃষক ভবিষ্যতে পাট চাষ করতে নিরুৎসাহিত হবেন। পাট একটি বর্ষাকালীন ফসল। এর জীবনকাল ১০০ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত। বাংলাদেশে পাটকে ‘সোনালি আঁশ’ বলা হয়ে থাকে। দুই ধরনের পাট বাংলাদেশে দেখা যায়: সাদা পাট (Corchorus capsularis) ও তোষা পাট (Corchorus olitorius)। পাটের জিনোমের আবিষ্কারক ড. মাকসুদুল আলম। বাংলাদেশে বর্তমানে পৃথিবীর মাত্র ২৪ শতাংশ পাট জন্মে। এত উৎকৃষ্ট পাট পৃথিবীর অন্য কোথাও উৎপন্ন হয় না। পাটের উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। বর্তমানে পাট উৎপাদনে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল প্রথম, ফরিদপুর অঞ্চল দ্বিতীয়, যশোর অঞ্চল তৃতীয় এবং কুষ্টিয়া অঞ্চল চতুর্থ। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৭.৫-৮.০ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয় যা থেকে প্রায় ৮০ লাখ বেল পাট আঁশ উৎপন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বছরে উৎপাদিত পাট আঁশের শতকরা প্রায় ৫১ ভাগ পাট কলগুলোতে ব্যবহৃত হয়, প্রায় ৪৪ ভাগ কাঁচা পাট বিদেশে রপ্তানি হয় ও মাত্র ৫ ভাগ দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারে কাজে লাগে। ২০১৯-২০ সালে বাংলাদেশ হতে প্রায় ১৩ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের কাঁচা পাট এবং ৭৫ কোিট ২০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পাটজাত পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। প্রতিবছর কোনো একটি পণ্যকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করে। চলতি বছরের বর্ষপণ্য হলো পাট ও পাটজাত পণ্য। কিন্তু সদ্যবিদায়ি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এই বর্ষপণ্যের বেহাল অবস্থা। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সরকার বর্ষপণ্য ঘোষণা করলে ওই পণ্যে উদ্যোক্তারা কোনো সুনির্দিষ্ট সুবিধা না পেলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নীতি সুবিধা ও কর্মপরিকল্পনায় অগ্রাধিকার দেয়। যদিও বহুমুখী পাটপণ্যে সরকার ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়েছে। এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদ্যবিদায়ি ২০২২-২৩ অর্থবছরের পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয়ে ১৯ শতাংশের বেশি ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময় রপ্তানি আয় হয়েছে ৯১.২২ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) আয় ছিল ১১২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এছাড়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৮ কোটি ডলার। এ সময় কাঁচা পাট রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ২০ কোটি ৪১ লাখ ডলার। পাটের সুতা থেকে আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ ডলার এবং পাটের বস্তা (জুট স্যাকস অ্যান্ড ব্যাগ) থেকে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। কাঁচা পাটে আগের বছরের চেয়ে আয় কমেছে ৫.৫৬ শতাংশ; পাটের সুতায় আয় কমেছে ২৮.৬৪ শতাংশ এবং পাটের বস্তা থেকে আয় কম হয়েছে ৭.৮৮ শতাংশ। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে পাটের অন্যান্য পণ্য থেকে আয় হয়েছে ১০ কোটি ডলার। এতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.২৩ শতাংশ। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বিশ্ববাজারে মন্দা হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে দুই বছর ধরে পাটের দর বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ, যা ২০২০ সালে প্রতি মণ (৪০ কেজি) কাঁচা পাটের দর ছিল তিন হাজার টাকা। বর্তমানে সেই একই পাট বিক্রি হচ্ছে ছয় হাজার টাকা। এছাড়া পাটের সুতার বড় বাজার ছিল তুরস্ক ও ইরান। পাটের সুতা আমদানি করে দেশগুলো কার্পেট তৈরি করত। তারা এক বছর ধরে পোশাকের ওয়েস্ট থেকে তৈরি সুতা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া পাটের সুতার দাম বেড়েছে ৬৫ শতাংশের বেশি। এর পাশাপাশি ইউরোপে মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে বহুমুখী পাটের পণ্য কেনার প্রবণতা কমেছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের পুরোটা খারাপ অবস্থা যাবে এই খাতের। এমন অবস্থা থেকে উত্তোরণে কাঁচা পাট রপ্তানি না বাড়িয়ে পণ্য বহুমুখীকরণ ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলেছেন উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া গবেষণা ও কাস্টমস বন্ড সুবিধা এবং ব্র্যান্ডিং ও বিপণনে কার্যকর কর্মসূচি নেওয়ার জন্য প্রয়োজন বড় বিনিয়োগ। বিশ্বের ৬০টি দেশ প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছে। এখানেও বাংলাদেশের বিপুল সুযোগ রয়েছে। কেননা বাংলাদেশের কাঁচা পাট নিয়ে ভারত বিশ্ববাজারের বেশির ভাগ দখল করে আছে; সেখানে বাংলাদেশের হিস্যা নেই বললেই চলে।’ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, গত ৫ বছরে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয়ের মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৮১ কোটি ৬২ লাখ ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১১৬ কোটি ১৪ লাখ ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১১২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এবং সদ্যবিদায়ি অর্থবছরে (২০২২-২৩) আয় হয়েছে ৯১ কোটি ২২ লাখ ডলার। গত পাঁচ বছরে পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে পাটশিল্পের অবদান ১ শতাংশ হলেও সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে এর অবদান ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ পাট থেকে ২৮৫টি পণ্য উৎপাদন করে বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে। প্রধান পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাঁচা পাট, পাটের হেসিয়ান, ব্যাগ, বস্তা, দড়ি, পাটের সুতা, কার্পেট, ক্যাপ, ম্যাট, কার্পেট ব্যাকিং কাপড়, প্যাকিং সামগ্রী, মোড়ানো কাপড়, ফলের ঝুড়ি, কলমের কেস, মানিব্যাগ, পর্দা, চেয়ার, কভার, পাটের শিট, পাটের সুতার বর্জ্য, তারপলিন, ক্যানভাস, হাইড্রোকার্বনমুক্ত পাটের কাপড়, জিও টেক্সটাইল, সজ্জা ও কাগজ, গৃহস্থালি পণ্য এবং হাতে বোনা বস্ত্র ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক জুট স্টাডির তথ্য মতে, বিশ্ববাজারে ৫০০ বিলিয়ন ৫০ হাজার কোটি পিস পাট ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। দ্য বিজনেস রিসার্চ কম্পানির তথ্য অনুসারে, পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের বিশ্ববাজার বাড়ছে। ভোক্তার আগ্রহে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় বিশেষ করে পাটের ব্যাগের চাহিদা বাড়ছে বেশি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত