বিশ্ব অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক-২০২৩ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এই তালিকায় এবার ১৪ ধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের সূচকে ৫৪.৪ পয়েন্ট স্কোর পেয়ে ১৭৬টি দেশের মধ্যে ১২৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে ১৩৭তম এবং ২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২০তম। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ওপর প্রতি বছর বার্ষিক সূচক প্রকাশ করে, যেখানে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকা দেশগুলোকে চিহ্নিত করে। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর। একটি দ্বীপশহর হওয়া সত্ত্বেও জনসংখ্যা মাত্র ৫.৫ মিলিয়ন, যার মাথাপিছু জিডিপি চীনের তুলনায় প্রায় ৭ গুণ বেশি এবং ভারতের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি। ২০২৩ সালে বিশ্বের ৫০টি বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে সেরা ২০টি দেশের র্যাংকিং করা হয়েছে। দেশগুলো হলো- ১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সেরা শীর্ষ অর্থনীতির দেশ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে উন্নত অর্থনীতিতে প্রথম সিরিয়ালে রয়েছে। ২০২২ সালে মাথাপিছু জিডিপি ৭৮ হাজার ৪২০ ডলার রেকর্ডের মাধ্যমে দেশটির অবস্থান সপ্তম।
২. মাথাপিছু জিডিপি, মুক্ত অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিক দিয়ে শীর্ষ তিনে অবস্থান করছে সুইজারল্যান্ড। এটি বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতি।
৩. সুইডেন বিশ্বের চতুর্থ সর্বাধিক উন্নত দেশ। নামমাত্র জিডিপির পরিপ্রেক্ষিতে সুইডিশ অর্থনীতি বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম। ৪. নেদারল্যান্ডস বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে ১৮তম স্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ১০০টির মধ্যে ৭৮তম অবস্থানে রয়েছে দেশটি।
৫. ইউনাইটেড কিংডম হলো বিশ্বের পঞ্চম সেরা অর্থনীতির দেশ। হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ২৮তম স্থানে রয়েছে দেশটি। ৬. জার্মানির নামমাত্র জিডিপির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। এটি ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতি এবং বিশ্বের সেরা ১০টি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশের একটি। ৭. বিশ্বের ১৪তম প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে কানাডা। দেশটির নামমাত্র জিডিপি বিশ্বের শীর্ষ দশের মধ্যে সর্বোচ্চ, যা ২০২২ সালে ছিল ২.২১ ট্রিলিয়ন ডলার। ৮. ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের গবেষণায় প্রথম স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। ৯. বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ অস্ট্রেলিয়া। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রেও এটি উচ্চ অবস্থানে রয়েছে। ১০. দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের ১৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি, যার নামমাত্র জিডিপি ১.৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর একটি। ১১. মাথাপিছু জিডিপি অনুযায়ী বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে আয়ারল্যান্ড।
১২. ২০২২ সালে নরওয়ের নামমাত্র জিডিপি ৫৭৯ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু জিডিপি হিসাবে এটি বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ১৩. ২০২৩ সালের মুক্ত সূচক অনুযায়ী ডেনমার্ক অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বে নবম স্থানে রয়েছে। ১৪. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে তাইওয়ন বিশ্বে চতুর্থ। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশের তালিকায় সপ্তম। ১৫. বিশ্বের সেরা অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান ১৫তম। নামমাত্র জিডিপির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্স হলো সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ১৬. নামমাত্র জিডিপির পরিপ্রেক্ষিতে জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। বৈশ্বিক অটোমোবাইল শিল্পের ১১ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করে দেশটি। ১৭. গবেষণা ও উদ্ভাবনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। নামমাত্র জিডিপির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি বিশ্বের ২৯তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে স্থান পেয়েছে। ১৮. অস্ট্রিয়ার নামমাত্র জিডিপি ৪৭২ বিলিয়ন ডলার এবং মাথাপিছু জিডিপি ৫০ হাজারের বেশি। ১৯. ২০২৩ সালে ফিনল্যান্ডের মাথাপিছু সর্বোচ্চ জিডিপি ৫১ হাজার ১৮০ ডলার। এছাড়া অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতেও দেশটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। ২০. বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর একটি বেলজিয়াম। আইএমএফের হিসাব অনুসারে ২০২২ সালের জিডিপি ছিল ৫৮২ বিলিয়ন ডলার।