আইএমএফের পদ্ধতি
রিজার্ভ ২৩.৫৬ বিলিয়ন ডলার
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থাটির সুপারিশ করা পদ্ধতি অনুযায়ী, রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৩৫৬ কোটি বা ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ বর্তমানে ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ডলার বা ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকৃত রিজার্ভ বা বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হিসাব করতে ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সময়ে এ তথ্য প্রকাশ শুরু করেছে, যখন আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বো লি ঢাকায় অবস্থান করছেন। আইএমএফের শর্ত ছিল, রিজার্ভ থেকে গঠন করা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব করতে রিজার্ভের অর্থে গঠন করা লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ বাদ দিতে হবে। প্রকৃত রিজার্ভ হিসাব করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব খাতের মোট ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে। গত জুনের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের প্রকৃত হিসাবায়ন শুরু করতে বাংলাদেশকে শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও রিপোর্টিংয়ের মান বাড়ানো। পাশাপাশি প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ার লক্ষ্যও বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। ঋণ অনুমোদনের সময় যেসব শর্ত এই প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, তার অন্যতম ছিল এটি।
বিভিন্ন খাতে এমন শর্ত পূরণের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দিয়ে আইএমএফ ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে গত জানুয়ারি মাসের শেষে। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার এরই মধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। তবে, জুনে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ প্রস্তাবিত পদ্ধতির পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতেও রিজার্ভের হিসাব করেছে।