ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১০ বছরে খাদ্য সংরক্ষণ প্রকল্পের অগ্রগতি অর্ধেক

১০ বছরে খাদ্য সংরক্ষণ প্রকল্পের অগ্রগতি অর্ধেক

বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি প্রকল্প ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট’ শুরুর পর এক দশক পেরিয়ে গেলেও কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫০ শতাংশেরও কম।

প্রকল্পের আওতায় সরকার বিভিন্ন জেলায় ৮টি সাইলো স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল। যার মধ্যে দুটি গম সংরক্ষণে এবং বাকিগুলো চাল সংরক্ষণের জন্য। এছাড়াও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, দেশের ৬৩টি উপজেলার ৫ লাখ গ্রামীণ পরিবারকে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য ছোট ছোট সাইলো দেওয়া হবে। যেখান সংরক্ষিত খাদ্যশস্য ঘাটতির সময় বিক্রি বা খাওয়া যাবে। পাশাপাশি অদক্ষতা কমাতে পরিবহন ও বাজার তদারকিসহ দেশের সামগ্রিক খাদ্য মজুদ মনিটরিং ডিজিটালাইজড করতে হবে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটির খরচ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য মতে, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর অবহেলার কারণে সাইলোর নির্মাণকাজ শেষ হয়নি, ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াও একই অবস্থায় আছে। ফলে, প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ৯২০ কোটি টাকা থেকে ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং বাস্তবায়নের জন্য আরো ২ বছর সময় চাওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইএমইডি বলেছে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রায় ২৩ মাস অতিবাহিত হলেও সফটওয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খাদ্য মজুদ ও বাজার মনিটরিং সিস্টেম সরবরাহ করতে পারেনি। ভারতের টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড এবং বাংলাদেশের টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেডের সহযোগিতায় বেক্সিমকো কম্পিউটারস লিমিটেড ২০২১ সালের জুনে ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজিটালাইজেশন সিস্টেমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সফটওয়ারটি ১২ মাসের মধ্যে তৈরির কথা ছিল এবং প্রতিষ্ঠানগুলো আরো ২ বছর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে। তবে আইএমইডির গবেষণায় দেখা গেছে, চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সফটওয়ার তৈরি করতে পারেনি।

আইএমইডি বলেছে, ‘ডেভেলপাররা প্রয়োজনীয় সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন এবং পণ্যের (এসএপি) লাইসেন্স পেতে বিলম্বের মুখোমুখি হওয়ায়- এটি আদৌ বাস্তবায়িত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।’ আইএমইডি বলছে, ‘এ ক্ষেত্রে সফটওয়ার ডেভেলপারদের গাফিলতি আছে।’ আইএমইডি আরও বলেছে, ‘সফটওয়ার সরবরাহের আগেই হার্ডওয়ার সরবরাহ করা হয়েছিল, যা কাম্য নয়।’ ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেমে মূল উদ্দেশ্য ছিল খাদ্যশস্য সংগ্রহে স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে খাদ্য অধিদপ্তরকে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত করা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত