ছয় বছরে বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তাহীন মানুষ বেড়েছে ১৮ লাখ : জাতিসংঘ

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২০১৬ সালের পর গত ৬ বছরে বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ বেড়েছে। সব মিলে এখন সোয়া ৫ কোটির বেশি মানুষ তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থাসহ (এফএও) জাতিসংঘের পাঁচ সংস্থা মিলে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ‘দ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট অন্য সংস্থাগুলো হলো কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন মানুষের খাবার ফুরিয়ে যায়, কোনো কোনো দিন অভুক্ত থাকে এবং মানুষের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকিতে থাকে, তখন সেই পরিস্থিতিকে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা ধরা হয়। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতিতে থাকা মানুষের সংখ্যা এখন ১ কোটি ৮৭ লাখ। মাঝারি ধরনের খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এটা এমন পরিস্থিতি, যখন মানুষের খাদ্য পাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। বছরের কোনো কোনো সময় তাদের খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয় অথবা খাবারের পরিমাণ ও মানের অবনমন ঘটে। অর্থ ও অন্য সম্পদের ঘাটতিতেই এমনটা ঘটে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার কারণে মানুষের পুষ্টিজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুষ্টির অভাবে বাংলাদেশের ৫ বছর বয়সি ৩৯ লাখ শিশু খর্বকায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির কথাও বলা হয়েছে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের ২২ শতাংশ পরিবার বন্যা এবং ১৬ শতাংশ মানুষ নদীভাঙনের শিকার। আরো বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে মানুষের আয়ের ওপর প্রভাব পড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, বেড়েছে খাবারের দাম। তাতে কোটি কোটি মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে।