ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় দুই দেশের পক্ষ থেকে রুপি ও দিরহামে বাণিজ্যের ঘোষণা আসতে পারে। গত শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল শনিবার নরেন্দ্র মোদি এক দিনের সফরে আবুধাবি সফরে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে রুপি ও দিরহাম ব্যবহারের বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। গতকাল সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারত রুপি ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যের এই খনিজসমৃদ্ধ দেশ থেকে তেল ও অন্যান্য পণ্য কিনতে চায়। আরব আমিরাত বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ। আর ভারত বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈশ্বিক বাণিজ্যে রুপি ব্যবহারের ঘোষণা দেয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত ও আরব আমিরাতের বাণিজ্য ছিল সাড়ে ৮৪ বিলিয়ন ডলার। ভারত রপ্তানি বাড়াতে রুপি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। গত ১১ জুলাই দেশটি প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারত খুব সম্ভব প্রথমবারের মতো রুপিতে আমদানিকৃত তেলের দাম পরিশোধ করতে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র, তেল ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রয়টার্সের কাছে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ভারতের সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, রুপিতে বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। খুব শিগগির তা শুরু হতে পারে। দেশটির এক সরকারি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারত ও আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে আলোচনা করছে। তারা ‘খুব শিগগির’ চুক্তিতে পৌঁছাবে। অপর সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবুধাবিতে প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সে সময় রুপিতে বাণিজ্যের ঘোষণা আসার ‘সম্ভাবনা’ আছে। সূত্র অনুসারে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া কিছু কারিগরি সমস্যা সমাধান করে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্যের বিষয়ে নীতিমালা প্রকাশ করবে। সংবাদ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলো ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ খাদ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। আরব আমিরাত খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। গত মাসে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ুষ গয়াল বলেছিলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও আরব আমিরাত অ-পেট্রোলিয়াম খাতে বাণিজ্য বাড়িয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার করতে রাজি হয়েছে।