ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাকরিতে মোটা বেতন নয়

মানসিক স্বাস্থ্যে জোর দিচ্ছে জেন জেড

মানসিক স্বাস্থ্যে জোর দিচ্ছে জেন জেড

নতুন প্রজন্মের তরুণদের পছন্দের ধরন বদলাচ্ছে। জেনারেশন জেড বা যারা ‘জেন জেড’ হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ যাদের জন্ম ১৯৯৭ সালের পর, সেই প্রজন্মের তরুণরা এখন বেশি বেতনের চেয়ে মানসিক স্বাস্থ্যে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আরপিজি গ্রুপের এক সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, জেন জেড প্রজন্মের তরুণেরা মোটা বেতনের চেয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও অন্তর্ভুক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আরেকটি বিষয় হলো, এই প্রজন্মের তরুণরা সেই ধরনের প্রতিষ্ঠান পছন্দ করেন, যারা ‘আচরণের বহিঃপ্রকাশের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিষয়ে বিচার’ করে না। এছাড়া জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪ শতাংশ তরুণ বলেছেন, ভালো কর্মক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রে স্থান ও সময়ের ধরাবাধা নিয়ম না থাকা, যাকে বলে ফ্লেক্সিবল ওয়ার্কপ্লেস। তারা যদি দেখেন যে, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে, তাহলে নতুন কাজ জোটাতে তারা দ্বিধা করবেন না। কর্মক্ষেত্রে জেন জেড প্রজন্মের তরুণরা কিছু মূল্যবোধ প্রত্যাশা করেন, সেগুলো হলো- যথার্থতা, স্বায়ত্তশাসন, পরিষ্কার মূল্যবোধ, সমতা, ন্যায্যতা ও ধরাবাধা নিয়ম না থাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রজন্মের তরুণরা যেন তাদের চারপাশের ভাঙা ব্যবস্থা সংস্কারে পণ করেছেন। এই তরুণরা কী চান, সে বিষয়ে তারা পরিষ্কার- এর মধ্যে আছে কোনো ধরনের পোশাক বিধান না থাকা, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, সবার জন্য অভিন্ন বাথরুম ও ধ্যান বা গভীর চিন্তা করার কক্ষ। আরপিজি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎনীতি এই সমীক্ষার ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হবে। যুবা ইনসাইটস স্টুডিওর সহায়তায় তারা এই সমীক্ষা পরিচালনা করেছে। আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান হার্শ গোয়েঙ্কা বলেছেন, এই সমীক্ষা শিল্পের নেতৃত্ব, মানবসম্পদকেন্দ্রিক পেশাদার ও অন্যদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ, এর মাধ্যমে তারা জানতে পারবেন, জেন জেড ঠিক কী চায়। প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের প্রেসিডেন্ট এস ভেঙ্কি ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে জেন জেড প্রজন্মের সুখ-অসুখ বোঝাটা কেবল এখন আর ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং যেসব কোম্পানি ভবিষ্যতেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে চায়, তাদের জন্য বিষয়টি অপরিহার্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত