সহজ শর্তে ঋণ পাবেন দুগ্ধ খামারিরা
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুগ্ধ খামারিদের সহায়তায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং প্রাণ ডেইরির সাপ্লাই চেইন ফ্যাইন্যান্স সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। এতে দুধ সরবরাহের সঙ্গে মূল্য ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন খামারিরা। এছাড়া ব্যাংক থেকে সহজে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা পাবেন তারা। ফলে বড় খামার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন উদ্যোক্তারা। তাতে খামারিদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়বে। পাশাপাশি দেশে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন। এসময় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান রইছউল আলম মণ্ডল এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাকাব ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দেশের দুগ্ধ খাত এগিয়ে নিতে এ পদক্ষেপ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চুক্তির ফলে দুগ্ধ খামারি ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পাবে। এ বিষয়ে উজমা চৌধুরী বলেন, এ ধরনের উদ্যোগে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। খামারিরা দুধ সরবরাহের সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দুধের মূল্য পাবেন। এছাড়া ভরা মৌসুমে অধিক পরিমাণ দুধ সরবরাহ করতে পারবেন। এতে রাকাবের পক্ষ থেকে অর্থায়নে সহায়তা করা হবে। ভরা মৌসুমে অধিক পরিমাণ প্রাপ্ত দুধ প্রক্রিয়াজাত করে গুঁড়ো দুধে রূপান্তর করতে পারবে প্রাণ। যা শুষ্ক মৌসুমে দুধের চাহিদা পূরণ করতে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, প্রাণ ডেইরি প্রান্তিক দুগ্ধ চাষিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য- যেমন পাস্তুরিত দুধ, গুঁড়া দুধ, ঘি, স্বাদযুক্ত দুধ, দই, মিষ্টি, মাঠা, চিজসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করে আসছে। দুধের এ বহুমুখী ব্যবহার দেশের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখছে। প্রান্তিক দুগ্ধ চাষিদের ন্যায্যমূল্য পেতে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করছে। এ ধরনের চুক্তি দেশের অভ্যন্তরে দুধের অধিক উৎপাদন এবং সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে সারাবছর দুধের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।