রাজস্ব আদায়ে বড় অনিয়ম ধরা পড়েছে বৃহৎ করদাতা ইউনিট-এলটিইউ-এ। আড়াই বছরে ৬৮টি বড় কোম্পানির ভ্যাট ফাঁকির সুদ ও জরিমানা আদায় করেনি সংস্থাটি। এ ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। কর্মকর্তারা জানান, অন্তত ৫০০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছেন এলটিইউ’র ওই সময়ের কমিশনার। গত দুই জানুয়ারি এলটিইউ কমিশনারকে চিঠি দেয় এনবিআর। এতে বলা হয়, নীরিক্ষার মাধ্যমে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটন হলেও, কেবল মূল ভ্যাট আদায় করা হয়েছে। সুদ ও জরিমানা আদায় হয়নি। যদিও ভ্যাট আইনে এমন কোনো বিধান নেই। চিঠিতে ২০২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অর্থাৎ, আড়াই বছরের সুদ ও জরিমানা আদায় না হওয়া প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় এনবিআর। সুদ-জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি বিধি বহির্ভূত কাজের ব্যাখ্যাও চেয়েছে সংস্থাটি।
চিঠি পেয়ে অনুসন্ধানে নামেন এলটিইউ’র বর্তমান কমিশনার। ৩ এপ্রিল চিঠি দিয়ে তিনি এনবিআরকে জানান, আড়াই বছরে ৬৮টি কোম্পানি নীরিক্ষা হয়েছে। সাতটি কোম্পানি থেকে সুদ ও জরিমানা আদায়ও হয়েছে। পরবর্তীতে এলটিইউকে আরেকটি চিঠিতে ৬৮ কোম্পানির তালিকা এবং ফাঁকি হওয়া ও আদায় করের পরিমাণ জানাতে বলে এনবিআর। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সে চিঠির জবাব দেননি কমিশনার। এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি কমিশনারের।
ভ্যাট আইন বিশেষজ্ঞ স্নেহাশিস বড়ুয়া বলেন, করোনায় একদিকে রাজস্ব আদায়ে চাপ ছিল। অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্যে ছিল মন্দাভাব। ফলে আগে ফাঁকি হওয়া মূল টাকা আদায়ে কৌশল নিতে পারেন কমিশনার। এখন সুদ-জরিমানা আদায়ে কোনো আইনি বাধা নেই। এনবিআরের সাবেক কমিশনার আব্দুল কাফি বলেন, করোনার সময়ে এডিআর নিষ্পত্তিসহ আরও অনেক বিষয়ে অনিয়ম হয়েছে এলটিইউয়ে। সেগুলোও তদন্তের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে এনবিআর।