মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বব্যাংক ১৯৬০ সাল থেকে মাসভিত্তিক পণ্যমূল্যের রেকর্ড সংরক্ষণ করে আসছে। এই ৬৩ বছরে পাম তেল, সয়াবিন তেল, গম কিংবা সয়াবিন বীজের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড হয় গত বছর। রেকর্ডের সময়কাল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে। অর্থাৎ, ৭৫৬ মাসে কোনোটির সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড হয়েছে ২০২২ সালের মার্চে, কোনোটির জুনে।
আর সর্বোচ্চ দামে পণ্য কিনে এমন অস্বস্তির সময় পার করেছে বাংলাদেশও। বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেলে দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির একটা যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু যখন বিশ্ববাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম কমতির দিকে, তখন দেশীয় বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, কিংবা বিশ্ববাজারের কাছাকাছি হারেও না কমা শুধু অস্বাভাবিক নয়, উদ্বেগজনকও বটে। দুর্ভাগ্য হলো আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি কিংবা বাজার- কোনোটিই যুক্তির ধার ধারে না। সব খানে জবরদস্তি চলছে। যে যখন যেখান থেকে পারে ফাও মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছে। আর পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বাড়ছে কম হারে। অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্ববাজারের দামকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে তেমন কমছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে গমসহ চারটি নিত্যপণ্যের। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধকালে খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি চুক্তি সইয়ের সুফল পেতে শুরু করেছে সমগ্র বিশ্ব। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই চুক্তির প্রভাবেই দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ছে। দাম কমতে শুরু করেছে।