ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নতুন ব্যাংকগুলোর এক দশক

নতুন ব্যাংকগুলোর এক দশক

বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদের সমালোচনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক আপত্তি সত্ত্বেও সরকার ২০১৩ সালে নতুন ৯ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লাইসেন্স দেয়। যেহেতু বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা বেশি তাই তারা নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। অনেকে মনে করেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক বর্তমানে মোটামুটি ভালো করছে, তবে কয়েকটি ব্যাংক এখন ধুঁকছে। মুনাফার দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, ২০২২ সালে এনআরবি কমার্শিয়াল, ইউনিয়ন ব্যাংক ও মধুমতি ব্যাংকের মুনাফা ১০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। তবে, পদ্মা ব্যাংকের পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৮০৫ কোটি টাকা। আর দুয়েকটি ব্যাংক খুব অল্প পরিমাণে মুনাফা করছে। ১৯৯২-১৯৯৬ সালে লাইসেন্স পাওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক এবং ১৯৯৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে অনুমোদিত তৃতীয় প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেশিরভাগ নতুন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার বেশি। ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে পদ্মা ব্যাংকের সর্বোচ্চ খেলাপির ঋণের অনুপাত ছিল ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ। মেঘনা ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অনুপাত ৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মধুমতি ব্যাংক খেলাপি ঋণের অনুপাত ১ দশমিক ৭ শতাংশে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এটি ৯ ব্যাংকের মধ্যে সর্বনিম্ন। পদ্মা ব্যাংক এখনো ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত