কৃষ্ণসাগর শস্য রপ্তানি চুক্তি বাতিলের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। গত শনিবার রাজধানীর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। ইউক্রেনের গমের অন্যতম ক্রেতা বাংলাদেশ। শস্যচুক্তি বাতিলের প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে কি না, সময় সংবাদের এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কৃষ্ণসাগর শস্য রপ্তানি চুক্তি বাতিল হওয়ার বিষয়ে সরকার অবগত। এতে দেশে খাদ্যের কোনো সংকট হবে না। কারণ, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানি সম্ভব না হলে বিকল্প উৎস হিসেবে অন্যান্য দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন এম এ মান্নান। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার না কমার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক বেশি আর বেশি প্রবৃদ্ধির দেশে মূল্যস্ফীতি একটু বেশিই থাকে। তবে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয় বলে দাবি করেন মন্ত্রী। এর আগে ‘রিভার্স অব সাউথ এশিয়া: কানেক্টিং ইকোলজি, এনার্জি, পিপল অ্যান্ড গভর্নেন্স’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের (এনআরসিসি) চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী এবং নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। শনিবার শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক নদীবিষয়ক গবেষক, বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, পরিবেশবিদ ও শিক্ষাবিদরা।