দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে যাওয়া জাপান বাধ্য হয়ে রক্তের নেশা ছেড়ে জাতি গঠনে মনোযোগ দিয়েছিল; যার ফলাফল আজ তারা পৃথিবীর অন্যতম সভ্য জাতি। জাপানিদের দ্বারা হওয়া সব বর্বরতার বিচারের জন্য গঠিত হয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর ‘টোকিয়া ট্রায়াল’। ১১ দেশের ১১ জন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত হয় টোকিও ট্রায়াল। সেই দলে একজন ছিলেন বাঙালি বংশোদ্ভূত। কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিচারপতির নাম ‘রাধা বিনোধ পাল’। তারই প্রজ্ঞা আর দৃঢ় কৌশলগত কারণে জাপানিরা বেঁচে যায় অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে। জাপানিরা যা করেছিল, তার পেছনে অল্প কয়েকজন মানুষের হাত থাকলেও মিত্র শক্তি চেয়েছিল পুরো জাতিকেই এর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে যেটি রাধা বিনোধ পালের কারণে সম্ভব হয়নি। ফলে বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যায় জাপান। সেই ঘটনার কৃতজ্ঞতা জানাতেই আজ পর্যন্ত জাপান অকৃত্তিম বন্ধু হয়ে আছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশকে সাড়ে ২২ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে জাপান। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ১০৮ টাকা প্রতি ডলারের দাম ধরে এর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে এই টাকা খরচ করা হবে। অলরেডি, ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর হয়ে গেছে। নমনীয় শর্তে জাপানের থেকে এই ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।