বাসমতি ছাড়া সব ধরনের সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য পণ্যটি বিক্রির চুক্তি বাতিল হতে পারে। যার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের চাল রপ্তানির ৪০ শতাংশই করে ভারত।
দেশের অভ্যন্তরে ভোগ্যপণ্যটির ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে ভারতে গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে চালের দর। বৈরি আবহাওয়ায় দেশটিতে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। সেই আশঙ্কায় এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত মুম্বাইভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, চাল রপ্তানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে পারে ভারতীয় সরকার। ফলে গত কয়েক দিন ধরে কিছু এলসি খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি পেমেন্ট গ্যারান্টি নিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, তবে এত তাড়াতাড়ি রপ্তানি নিষিদ্ধ করবে- তা ভাবেননি ব্যবসায়ীরা। আশা করা হচ্ছিল, আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে এ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে সরকার। ফলে চুক্তিগুলো বাতিল করা ছাড়া আর উপায় দেখছেন না তারা। এজন্য আমাদের ‘ফোর্স ম্যাজিউর’ রুল প্রয়োগ করতে হবে। এ আইন অনুযায়ী, এক পক্ষ অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ে চুক্তি বাতিল করতে পারে। এরই মধ্যে চারজন ডিলার নিশ্চিত করেছেন, প্রায় ২০ লাখ টন বা ১০০ কোটি ডলারের চাল রপ্তানির চুক্তি বাতিল হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সরকার জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা আসছে ২০ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। ফলে এ মুহূর্তে যেসব চাল জাহাজীকরণ হচ্ছে, শুধু সেগুলোই রপ্তানি করা যাবে। কয়েক দিন আগে করা এলসির আওতায় ভবিষ্যতে আর চালান হবে না। ওলাম এগ্রি ইন্ডিয়া লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতিন গুপ্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সাধারণত যেকোনো পণ্য রপ্তানির আগে চুক্তি করেন ব্যবসায়ীরা। এতে আগামী কয়েক মাসে রপ্তানির জন্য যেসব চুক্তি করা হয়েছে, সেগুলো আর কার্যকর হবে না।