বাড়ছে ১৯৬ খাদ্য গুদাম
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার আরো ১৯৬টি খাদ্য গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনটি সিটি করপোরেশনসহ দেশের আটটি বিভাগের ৫৩ জেলার ১৩১ উপজেলায় এসব খাদ্য গুদাম নির্মাণে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৮১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০২৬ সালের মধ্যে এসব খাদ্য গুদাম নির্মাণ করবে খাদ্য অধিদপ্তর। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, সরকার টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। এ জন্যই নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে খাদ্যশস্য স্টোরেজ ক্যাপাসিটি আরো ১ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন বাড়াতে চায়। কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ন্যায্য মূল্য প্রদান নিশ্চিত করে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিভিন্ন চ্যানেলে (ওএমএস, ভিজিডি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ইত্যাদি) জনগণের কাছে খাদ্যশস্য যথাসময়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই সরকার এসব খাদ্য গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, এ লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এরমধ্যেই ‘দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নতুন খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া ৮১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি গত ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন করেছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৮০টি এবং ৫০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১১৬টিসহ মোট ১৯৬টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হবে। এসব গুদামের জন্য অফিস কাম ডরমেটোরি ভবন ও আরসিসি সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এ জন্য তিন একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। গুদামগুলোর নিরাপত্তার জন্য ১৯৬ সেট সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ১৬ সেট কনভেয়ার বেল্ট সিস্টেম স্থাপন ও ৫০টি ময়েশ্চার স্ট্যাবিলাইজার স্থাপন করা হবে। এছাড়াও ৫০টি এয়ার-টাইড স্মার্টডোর, ২ হাজার ১২০ সেট মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন স্থাপন করা হবে। সূত্র জানায়, প্রকল্পটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় উচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ধারণক্ষমতা ৩৭ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় মনে করে- প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া প্রকল্পটি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এর লক্ষ্যমাত্রা-১-এ বর্ণিত সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান, লক্ষ্যমাত্রা-২-এ বর্ণিত ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জনের সঙ্গেও প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একনেকের অনুমোদন চেয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে খাদ্যশস্য স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ১ লাখ ৩৮ লাখ মেট্রিক টন বাড়বে।