ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত
ইউরোপ-আমেরিকা থেকে তিন কনটেইনার চিংড়ি ফেরত
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানির রাজধানী বলে খ্যাত খুলনাঞ্চলের সাতটি হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের চিংড়িতে ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করেছে আমদানিকারক দেশ। এরই মধ্যে তিন কনটেইনার চিংড়ি ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা। এসব চিংড়িতে ভাইরাস, লোহার স্ক্রু ও সিরিঞ্জের নিডল পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে আমদানিকারক দেশগুলো মাছ কোম্পানিগুলোকে নোটিশ দিয়েছে। চিংড়িতে অপদ্রব্য ধরা পড়ার পর আমদানিকারক দেশগুলো ১০ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। চিংড়ি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল খুলনাঞ্চলের খামার, ডিপো ও হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যবেক্ষণ করবে। মৎস্য পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ, খুলনা কার্যালয়ের সূত্র জানায়, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আমদানিকারক দেশ ইউরোপ ও আমেরিকায় কেমিক্যাল টেস্টের পর এ অঞ্চলের উৎপাদিত হিমায়িত খাদ্যে অপদ্রব্য আছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। অপদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- বিভা ভাইরাস, ম্যালাকাইট নামক এন্টিবায়োটিক, স্যালমোনিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া, পচা-দুর্গন্ধ, ভাঙা নিডিল ও লোহার স্ক্রু। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- খুলনার রূপসার ডা. সৈয়দ আবু আছফারের মালিকানাধীন অর্গানিক শ্রিম্প এক্সপোর্ট লিমিটেড, একই এলাকার মো. শরিফুল আলমের মালিকানাধীন রোজেমকো সী ফুড লিমিটেড, গৌতম দাসের মালিকানাধীন সাতক্ষীরা দীপা সী ফুড লিমিটেড, খুলনার রূপসার এসএম মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন এটলাস সী ফুড লিমিটেড, একই এলাকার কামরুল হাসানের মালিকানাধীন সালাম সী ফুড লিমিটেড, মাগুরার বিবেকানন্দ শিকদারের মালিকানাধীন জাপান ফাস্ট ট্রেড লিমিটেড, সাতক্ষীরার মো. জালাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ক্রিমসন রোজেলা সী ফুড লিমিটেড। মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সূত্র আরো জানায়, আমদানিকারক দেশ হিমায়িত খাদ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রপ্তানিকারকদের সতর্ক করে বলেছে, ভবিষ্যতে তাদের খাদ্যে অপদ্রব্য থাকলে বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। হিমায়িত খাদ্যে অপদ্রব্য মিশ্রিত থাকায় কিডনি ও লিভার নষ্ট এবং ক্যান্সারের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হওয়ার পর আমদানিকারক দেশগুলো সালাম সী ফুড, রোজেমকো সী ফুড ও দীপা সী ফুডের হিমায়িত খাদ্য মোংলাবন্দরে ফেরত পাঠিয়েছে। মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা লিপটন সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হওয়ার পর আমদানিকারক দেশগুলোর অনীহা দেখা দিয়েছে। দাম কম ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে রপ্তানি বেশ কমেছে।