২০২৩ অর্থবছরে বাড়েনি রেমিট্যান্স
বাড়ল রেকর্ডসংখ্যক জনশক্তি রপ্তানি
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
জনশক্তি রপ্তানিতে এই মাইলফলক অর্জন সত্ত্বেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি। এই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ মাত্র ২.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড ১১.৩৭ লাখ কর্মী (জনশক্তি) বিদেশে রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ; দেশের ইতিহাসে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, এই সংখ্যা পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪০ শতাংশ বেশি এবং আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। তবে জনশক্তি রপ্তানিতে এই মাইলফলক অর্জন সত্ত্বেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি। এই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ মাত্র ২.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনা সত্ত্বেও এই পরিমাণ গত ২ বছর আগে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ কম। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং ব্যাংকাররা এই অসঙ্গতির দুটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। প্রথমত, অনানুষ্ঠানিক হুন্ডি অপারেটর; তারা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের বিপরীতে উচ্চ বিনিময় হার প্রদান করে প্রবাসীদের আকৃষ্ট করছেন। দ্বিতীয়ত, বিপুলসংখ্যক অদক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানোর ফলে সামগ্রিক রেমিট্যান্সের পরিমাণে প্রভাব পড়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা করছেন তারা। তবে কারণ যেটিই হোক, পরিস্থিতি এখন উদ্বেগজনক; কারণ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি গত ১৬ মাস ধরে টাকার মানও কমছে।
এই সমস্যা সমাধানে ব্যাংকারদের পরামর্শ হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বর্তমান নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি হারে ডলার কেনার অনুমতি দেওয়া।
একটি বিশিষ্ট বেসরকাররি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সিইও জানান, বর্তমানে প্রতি ডলারের জন্য ১০৯ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার অনুমতি রয়েছে ব্যাংকগুলোর, যেখানে হুন্ডি অপারেটররা ডলারপ্রতি ১১৫ টাকা করে প্রদান করছেন। এর ফলে অনানুষ্ঠানিক হুন্ডির মাধ্যমেই টাকা পাঠানোর দিকে বেশি ঝুঁকছেন প্রবাসীরা।