বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া কিশোর-কিশোরীদের বিকল্প পদ্ধতিতে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ৩৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে কিশোর-কিশোরীদের দক্ষতাকেন্দ্রিক সাক্ষরতা পাইলট প্রকল্প হাতে নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের পুরো টাকাই অনুদান হিসেবে দেবে ইউনিসেফ।
প্রকল্পটি ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে কক্সবাজার জেলায় বাস্তবায়ন করবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো। প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে শ্রমঘন অর্থনীতিকে দক্ষতা ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করা অপরিহার্য। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় দক্ষতাভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরের লক্ষ্য ও কৌশল সুস্পষ্টভাবে বিবৃত হয়েছে; যা অর্জন করতে হলে বাংলাদেশের বিদ্যমান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা গ্রহণ করে কর্মক্ষম যুবদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রস্তাবনা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার সন্তোষজনক হলেও পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, মাধ্যমিক স্কুল গমনোপযোগী প্রায় ৪০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী বিদ্যালয়বহির্ভূত আছে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সি প্রায় ২৭ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ও যুব জনগোষ্ঠী কোনো প্রকার চাকরি, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই; যা দক্ষতাভিত্তিক অর্থনৈতিক রূপান্তরের অন্যতম অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।