ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জুলাইয়ে প্রবাসী আয় কমেছে

জুলাইয়ে প্রবাসী আয় কমেছে

চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

চলতি বছরের জুনে রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহের পর জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমেছে। জুলাইয়ে প্রবাসীরা ১ হাজার ৯৭৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, জুনে যা ছিল ২ হাজার ১৯৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ২২৬ মিলিয়ন ডলার। গত বছরের জুলাইয়ের চেয়েও রেমিট্যান্স কমেছে। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৬ মার্কিন ডলার, এ বছর ১২৩ মিলিয়ন কমে তা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, জুনে ঈদের কারণে প্রবাসীরা রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। তবে, জুলাইয়ে সেই তুলনায় রেমিট্যান্স কম এসেছে। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮.৫০ টাকা ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ০.৫০ টাকা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা করা হয়েছে। আমদানি নিষ্পত্তিতেও ডলারের দাম ০.৫০ টাকা বাড়িয়ে ১০৯.৫০ টাকা করা হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারে ১ টাকা করে লাভ করতে পারলেও ডলারের দাম ১০৯.৫০ টাকার সীমা অতিক্রম করতে পারে না। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাসোসিয়েশন অভ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মাসের বৈঠকে আন্তঃব্যাংক ডলারের দাম ১০৯ টাকার বেশি হওয়া যাবে না বলে একটি নতুন নিয়ম করা হয়েছিল। এক ডলার কেনার জন্য একটি ব্যাংকের গড় খরচ ১০৭.৫০ টাকা হলে ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে সর্বোচ্চ ১০৮.৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারে। তবে এক ডলার কেনার গড় খরচ যদি ১০৮.৭০ টাকা হয়, তাহলে বিক্রি করার সময় ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা দাম রাখতে পারে। সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্সের দেশ ২০০৮ সাল থেকেই বিশ্বের শীর্ষ রেমিট্যান্স উপার্জনের দেশ ভারত। ১৪০ কোটির উপর জনসংখ্যার এই দেশে ২০২২ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার স্পর্শ করেছে, যা আগের বছর থেকে ১৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার বেশি। ডলার সংকটের মধ্যে সদ্য সমাপ্ত মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় কমেছে। এই মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। তার আগের মাস এপ্রিলেও রেমিট্যান্স কম এসেছিল, যা আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ কম। তবে মে মাসে যে আয় এসেছে, তা এপ্রিলের চেয়ে ৬৭ লাখ ডলার কম। এপ্রিলে এসেছিল ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, পুরো মে মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার। আর তার আগের মাস এপ্রিলে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল দেশে। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মে মাসে এসেছে ২৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, এপ্রিলে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছিল ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত