বিনিয়োগকারীদের আরো ২৪ হাজার বিও বাতিল
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাত্র তিন কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আরো ২৪ হাজার ২০৮ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব বাতিল করা হয়েছে। বার্ষিক সার্ভিস চার্জ বা নবায়ন ফি না দেওয়ায় ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মাধ্যমে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) এই বিও হিসাবগুলো বাতিল করেছে। সিডিবিএলের তথ্যমতে, গত ৩০ জুন সকালে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫০টি। সেখান থেকে গত তিন দিনে আরো ২৪ হাজার ২৯৮টি বিও হিসাব কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৫২টিতে। এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথম এক মাসে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বাতিল হলো ১ লাখ ১৭ হাজার ৫২২টি। এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুন বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৪টি। আর ১ আগস্ট বিও হিসাব কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৫২টিতে।
পুঁজিবাজারে বাড়ল লেনদেন : সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। খাদ্য প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে। বেড়েছে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও। ফলে মঙ্গল ও বুধবার টানা দুই দিন পুঁজিবাজারে উত্থান হলো। তবে তার আগের টানা তিন দিন দরপতন হয়েছিল। বুধবার দিনের প্রথম দুই ঘণ্টা বেশ চাঙাভাবের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন হয়েছে। তবে শেষ দুই ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে ক্রেতাদের শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্য দিয়ে। ফলে দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি কোম্পানির। প্রকৌশল খাতের ৪২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে আট কোম্পানির, কমেছে ৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির কোম্পানির শেয়ারের। এছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, তার বিপরীতে কমেছে ৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এই তিন খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বস্ত্র ও আইটি খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এই দুই খাতেও সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ডিএসইর তথ্য মতে, আজ বাজারে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৪২৩ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৪৬ কোটি ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে প্রায় এক শত কোটি টাকা। এদিন দাম বেড়েছে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৮৭টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৪টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬০ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল জেএমআই হসপিটালের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল রয়েল টিউলিপ সি পার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার শেয়ার। এরপরের তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, জেমিনি সি ফুড, ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, মেট্রো স্পিনিং মিলস এবং এমারেল্ড অয়েল কোম্পানির শেয়ার। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১১ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭২১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৬৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ৫১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৮০ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজার ৫৮১ টাকার শেয়ার।