বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকে ইউটিউব প্রিমিয়াম ও ইউটিউব মিউজিক ব্যবহার করতে পারবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউটিউব বাংলাদেশের পার্টনার ম্যানেজার আবু সালেহ এক ফেইসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউটিউব প্রিমিয়ামটি প্রথম মাস ফ্রি টায়াল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এরপর ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসে ২৩৯ টাকা করে দিতে হবে। এছাড়া ৪৪৯ টাকার ফ্যামিলি প্যাকেজ সাবস্ক্রিপশন করলে সর্বোচ্চ পাঁচজন ব্যবহার করতে পারবেন এবং স্টুডেন্ট প্যাকেজের মূল্য ১৩৯ টাকা। ইউটিউবের ডাউনলোড সুবিধাটি দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে- এমন পরিবেশে বেশ কাজে দেয়।
ইউটিউব প্রিমিয়াম হলো একটি সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা। ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের মাধ্যমেই এই পরিষেবাটি দেওয়া হয়। ইউটিউব প্রিমিমামের সুবিধা হলো- এই পরিষেবাটি ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনমুক্ত কনটেন্ট দেখা যায়। সেই সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মটির নির্মাতাদের সহযোগিতায় নির্মিত প্রিমিয়াম ইউটিউব অরিজিনাল প্রোগ্রামিং, ভিডিও ডাউনলোড এবং মোবাইল ডিভাইসে ভিডিওগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড প্লেব্যাক এবং ইউটিউব মিউজিক স্ট্রিমিং পরিষেবা পাওয়া যায়। ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর এই পরিষেবাটি চালু হয়। তখন শুধু ইউটিউব এবং গুগল-প্লে মিউজিকের ভিডিওগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত স্ট্রিমিং সুবিধা পাওয়া যেত। এরপর পরিষেবাটিতে আনা হয় এবং ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ‘ইউটিউব রেড’ হিসেবে আবার চালু করা হয়। এরপর ২০১৮ সালে ইউটিউব এটিকে ‘ইউটিউব প্রিমিয়াম’ নাম দিয়ে একটি পৃথক পরিষেবা হিসেবে পুনঃব্র্যান্ডিং করে। ইউটিউবের মিউজিক স্ট্রিমিং পরিষেবা হলো ‘ইউটিউব মিউজিক’, যা অনেকটা স্পটিফাইয়ের মতো। গুগলের একটি পার্টনার অরগানাইজেশন হিসেবে ইউটিউব এ পরিষেবাটি তৈরি করেছে। ইউটিউব ব্যবহারকারীরা এখানে তাদের পছন্দ এবং রিকমন্ডেশনের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের গান শুনতে পারেন। এই পরিষেবাটির একটি প্রিমিয়াম সংস্করণ রয়েছে। যেখানে বিজ্ঞাপনমুক্ত মিউজিক, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, গান ডাউনলোড এবং অফলাইন গান শোনা যায়।