ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মেডিকেল ডিভাইস ক্রয়-বিক্রয়

দামের বিস্তর ফারাক

দামের বিস্তর ফারাক

বাংলাদেশে হার্টের পেসমেকার ও ভাল্বসহ মেডিকেল ডিভাইস যে দামে আমদানি করা হয় তা রোগীদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে দামের বিস্তর ফারাক থাকে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, এটি চাল-ডালের কোনো ব্যবসা নয়, এটি জীবন রক্ষাকারী পণ্যের ব্যবসা। এক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা প্রয়োজন। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মেডিকেল ডিভাইস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ভোক্তা ডিজি বলেন, মেডিকেল ডিভাইসের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ও দামের যে তথ্য আমরা পেয়েছি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটা অ্যানালাইসিস করে যে তথ্য পেয়েছি, এ দুইয়ের দামের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলাদা একটি স্টাডি করেছি, সেখানেও এসব পণ্যের দামে বিস্তর ফারাক পেয়েছি। এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতিবেশী দেশেও এ চিকিৎসায় খরচ অনেক কম।

কিন্তু আমাদের দেশে কেন এত বেশি হবে? এ বিষয়টি ভালো করে দেখার সুযোগ রয়েছে। আমরাও পেসমেকার-ভাল্ব যে দেশগুলো থেকে আমদানি করি, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও সেসব দেশ থেকেই আমদানি করে। তাহলে দুই দেশের মধ্যে এত দামের ফারাক হবে কেন সেটি জানা খুবই জরুরি। তিনি বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত মেডিকেল ইকুইপমেন্টের দাম ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া রয়েছে। আমরা যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের থেকে আমদানির তথ্য নিলাম তখন দেখতে পেলাম ৩০ ডলার থেকে ৭ হাজার ডলারের ইকুইপমেন্ট রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত