এনার্জি সেক্টরে স্মার্ট মাস্টারপ্ল্যান
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
এনার্জি সেক্টর স্মার্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, জ্বালানি খাতে এটিই হবে প্রথম পরিকল্পনা, যাতে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে। ইতোমধ্যে হাইড্রোকার্বন ইউনিট থেকে ‘এনার্জি সেক্টর স্মার্ট মাস্টারপ্ল্যান’ প্রণয়নের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। গত জানুয়ারি মাসে এনার্জি সেক্টর স্মার্ট মাস্টার প্ল্যান বিষয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুর হামিদ বলেছিলেন, একটি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটি স্মার্ট পাওয়ার ও এনার্জি মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন। তিনি একথা উল্লেখ করেন যে জ্বালানি সেক্টরের মহাপরিকল্পনা আওতায় নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশে ৩০ বিলিয়ান ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে জাপানের সহযোগিতা আহ্বান করে বলেন, জাইকা বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সহায়তা করতে পারে। এই এনার্জি সেক্টর স্মার্ট মাস্টারপ্ল্যান করতে গত জুলাই মাসের ৭ তারিখে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর প্রতিমন্ত্রী সভাপতিত্বের অনুষ্ঠিত এ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থা অটোমেশন সংক্রান্ত কার্ষক্রম বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার সিদ্বান্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্মার্ট এনার্জি সেক্টের মাস্টারপ্ল্যান (ইএসএমপি) প্রণয়নের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিতভাবে একটি কমিটি গঠন করা কথা বলা হয়েছিল। স্মার্ট এনার্জি সেক্টর ম্যাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে গত সপ্তাহে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ উপসচিব একেএম মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সার্কুলার জারি করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছে মহাপরিচালক হাইড্রোকার্বন ইউনিট। এই কমিটির কর্মপরিধি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থা বা কোম্পানির বিষয়ভিত্তিক মতামত প্রদান করবে। স্মাট ইএসএমটি প্রণয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে এ কমিটি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে এ আদেশ জারি করা হলে অনতিবিলম্বে কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। হাইড্রোকার্বন ইউনিট কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়া এক কমিটিতে বিপিসি দুইজন কর্মকর্তা, পেট্রোবাংলার দুইজন কর্মকর্তা, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং বিস্ফোরক পরিদপ্তরের একজন করে সদস্য থাকবেন। এনার্জি সেক্টর ম্যাস্টারপ্ল্যান করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হাইড্রোকার্বন ইউনিটের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে এখন প্রধান জ্বালানি গ্যাস। এর পাশাপাশি চাহিদা থাকলেও সামান্য পরিমাণ কয়লা তোলা হচ্ছে। তবে দেশে যে কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হচ্ছে তার সিংহভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা।