ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৬ মাস বাড়ল খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি

৬ মাস বাড়ল খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির সময় ৬ মাস বাড়ানো হলো। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সচেতনতামূলক এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ‘খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ ব্যানারে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। ভেজাল বন্ধ ও পুষ্টির মান বজায় রাখতে ১ আগস্ট থেকে বাজারে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পরে এটি কার্যকরে আরো ৬ মাস সময় চায় ভোজ্যতল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। অনুষ্ঠানের শুরুতে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘২০১৩ সালের আইনে ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া ২০১৯ সালের আইনে ভোজ্যতেল প্যাকেট বা বোতলজাত করার বিধান রাখা হয়েছে। এ জন্য গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল। এ সময়ের মধ্যে সব প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান শতভাগ বোতলজাত ও প্যাকেটজাত করতে পারেনি। ‘খোলা সয়াবিন তেলে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পাম তেল সয়াবিন বলে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ক্রেতারা কেজিতে ২০ টাকার উপরে দাম দিতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতারিত হচ্ছে। এ অবস্থায় আইনটি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।’ খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধে এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি। এ নিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘খোলা তেলের ড্রামগুলো বেশিরভাগই কেমিক্যালের ড্রাম। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও আছে। এসব ড্রামে তেলাপোকা, ইঁদুর পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য পাম ও সয়াবিন তেল বোতলজাত করতে হবে। কেননা, এর আগে তিনবার এ ব্যাপারে তারিখ পেছানো হয়েছে। গত ১৮ থেকে ২০ জুলাই জাতীয় কমিটির মিটিংয়েও বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন সয়াবিন শতভাগ বাজারজাত করা সম্ভব।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত