অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে বাসমতি ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এর রেশ না কাটতেই নতুন করে আরেকটি নিত্যপণ্য, চিনি রপ্তানির ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে উদ্বিগ্ন খাত বিশ্লেষকরা। গতকাল সোমবার ব্লুমবার্গের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি সরবরাহ সংকটের কারণে ভারতের চিনি রপ্তানির ওপর বিশ্ব ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কিন্তু দেশটিতে অসম বৃষ্টিপাতে ব্যাপক কৃষি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে পর্যাপ্ত চিনি উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গত মৌসুমের মতো চলতি বছরের অক্টোবরে শুরু হয়ে মৌসুমেও চিনির উৎপাদন কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চিনির উৎপাদন কমে গেলে সহসাই দেশটির রপ্তানি সক্ষমতাও কমে যেতে পারে। তাই চিনি রপ্তানি কড়াকড়ি করার মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেন না, এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত ও দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য গম ও বাসমতি ছাড়া সব ধরনের চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের খাদ্য বাজারে। বৈরি আবহাওয়া আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে বাড়তি থাকা খাদ্যমূল্য এ সিদ্ধান্তের প্রভাবে আরো বেড়ে গেছে।