জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট শক্তিশালী দাবদাহের কারণে বারবার উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসছে দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা। এতে করে প্রায় ৪৬ কোটি শিশু তীব্র তাপমাত্রায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ। গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২০ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউনিসেফ জানায়, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত এবং পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আনুমানিক ৪৬ কোটি শিশু উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে রয়েছে। এসব অঞ্চলে বছরে ৮৩ দিন বা তারও বেশি দিন ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৯৫ ফারেনহাইট) বেশি তাপমাত্রা থাকে। ১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য এশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর অঞ্চল বলে জানায় সংস্থাটি।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার ৭৬ শতাংশ শিশু উচ্চ তাপমাত্রার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সঞ্জয় উইজেসেকেরা বলেন, এসব অঞ্চলের দেশগুলো এখনো বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতর অঞ্চল না হলেও এখানকার লক্ষাধিক অরক্ষিত শিশুদের জন্য তীব্র দাবদাহ জীবন-হুমকির ঝুঁকি নিয়ে আসে। বিশেষ করে শিশু, ছোট বাচ্চা, অপুষ্ট শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের সম্পর্কে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ, তারা হিট স্ট্রোক এবং অন্যান্য গুরুতর রোগে ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউনিসেফ সতর্ক করে জানায়, ‘শিশুদের জন্য তাপ পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে কারণ শিশুরা এই ধরনের তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে অক্ষম। বিশেষ করে কম বয়সি শিশুরা বাস্তবিক অর্থে উষ্ণতা সহ্য করতে পারে না। ‘মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্রুত গতিতে বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রতি বছরই ১ থেকে ২ ডিগ্রি করে বাড়ছে উষ্ণতা। ইউনিসেফ বলেছে, এখনই পদক্ষেপ না নিলে শিশুদের আগামী বছরগুলোতে আরো ঘন ঘন ও ভয়াবহ দাবদাহে মোকাবিলা করতে পারে।