জিডিপির সঙ্গে মাথাপিছু আয় বেড়েছে বাংলাদেশে

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১৭ বছরে বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ তিন গুন বেড়েছে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপিকে ইতিবাচক চোখে দেখছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ বলছে রপ্তানি, রেমিট্যান্স এবং অভ্যন্তরীণ খরচ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২ অর্থবছরে আরো বড় করেছে। ওই অর্থবছরে দেশীয় পণ্যের মোট প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের ৬ দশমিক ৯ এর তুলনায় বেশি। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘বরগেন প্রজেক্ট’ মনে করে, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের কারণগুলোকে মোকাবিলা করা কঠিন। তবুও বিগত বছরগুলোতে চিত্তাকর্ষক উন্নতি ছাড়াও স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তারপরও লন্ডন থেকে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিকসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান এখনো গরিব দেশের তালিকায়। শুধু তাই নয়, ১২৪তম অবস্থান নিয়ে ওই তালিকাটির তলানিতে রয়েছে বাংলাদেশ। গত ৩০ বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতির ডেটা পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিকস। আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে মোট পাঁচটি ভাগে দেশগুলোর তালিকা করে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে তালিকাটির এ গ্রুপে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি ৩১টি দেশ। এই দেশগুলোর অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠানটি বিশেষায়িত করেছে, ‘যত ভালো হতে পারে’ বলে। তালিকার ‘বি’ গ্রুপে আছে ‘ভালো’ অর্থনীতির ৩৩টি ধনি দেশ। ‘সি’ গ্রুপে থাকা ৩১টি দেশকে ‘সতর্ক অর্থনীতির’ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ‘গরিব’ দেশগুলোর তালিকা ‘ডি’ গ্রুপেও আছে ৩১টি দেশ। আর ‘সবচেয়ে গরিব’ দেশগুলোর তালিকা ‘ই’ গ্রুপে রাখা হয়েছে আরও ৩২টি দেশকে। এসব তালিকায় ১২৪তম অবস্থান নিয়ে সবচেয়ে গরিব দেশগুলোর শীর্ষ অবস্থান থেকে মাত্র এক ধাপ ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। গত সোমবার মাথাপিছু জিডিপির হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান’। প্রতিবেদনটিতে ব্রিটানিকা এনসাইক্লোপিডিয়া বরাতে ‘গরিব দেশ’ শব্দটির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- এমন একটি দেশ, যেখানে নাগরিকদের মাথাপিছু গড় আয় স্বাভাবিক বা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য পরিমাণ থেকে কম রয়েছে। বলা যায়, যারা তাদের মৌলিক প্রয়োজনগুলো সন্তোষজনকভাবে পূরণ করতে পারেন না, তারাই গরিব বা দরিদ্র মানুষ।