ওয়ালটনের এটিএস এক্সপো

ওয়ালটনের শিল্পমেলা শুরু

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়ালটনের আয়োজনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী এটিএস এক্সপো। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ওয়ালটনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এটিএস এক্সপো শুরু হয়েছে। ২৫০ ধরনের বেশি উপকরণ বা যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয় একটি নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ তৈরিতে। আবাসিক ভবনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) তৈরিতে লাগে তিন শতাধিক যন্ত্রাংশ। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের তৈরি বিভিন্ন শিল্প খাতে প্রয়োজনীয় এ ধরনের ৫০ হাজারের বেশি পণ্য, যন্ত্রাংশ ও পরিষেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি বা এটিএস এক্সপো ২০২৩।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান জুনিয়র, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সামীর সাত্তার ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম মুর্শেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিচালক এসএ মাহবুবুল আলম। ওয়ালটন জানিয়েছে, এটিএস এক্সপো বাংলাদেশে একক কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এতে একই ছাদের নিচে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারের বেশি শিল্প উপকরণ, সেবা ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ। এগুলোর অধিকাংশই প্রায় সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধাপে প্রধান কাঁচামাল ও উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন উৎপাদিত পণ্য ও সেবা তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের আমদানিনির্ভরতা হ্রাসের মাধ্যমে শত শত কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে এই প্রথম এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে দেশে ওয়ালটনের মতো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তারা দেশের আমদানিনির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। সবকিছু মিলিয়ে ওয়ালটন এখন দেশীয় শিল্পের আইকনে পরিণত হয়েছে। আজকের প্রদর্শনীতে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে দেশীয় শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারের কাছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। আশা করছি, এ ধারাবাহিকতা

আগামী দিনেও বজায় থাকবে। বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ডলার ও সরবরাহ সমস্যার কারণে আমদানিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ভূমিকা রাখছে। এছাড়া দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে ওয়ালটন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের অবস্থান আরো শক্তিশালী করছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সামীর সাত্তার। ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি গোলাম মুর্শেদ বলেন, শিল্প ও উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের যে সম্ভাবনাময় অবস্থান আছে, ওয়ালটন তার কাজের মাধ্যমে সেটা প্রমাণ করেছে। সরকারের নীতিসহায়তা ও গ্রাহকদের আস্থার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এ যাত্রা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিসরে বড় জায়গা করে নেওয়া সম্ভব হবে। ওয়ালটন জানিয়েছে, শিল্প মেলায় মোট ২১টি স্টল রয়েছে। মেলায় টেস্টিং সলিউশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস (শিল্প উপাদান), কম্পোনেন্টস (উপকরণ), সার্ভিসেস (সেবা) ও প্রোডাক্ট (পণ্য)- এই চার শ্রেণিতে পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।