ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘বড় ব্যবসায়ীরা নির্দেশ মানেন না’

‘বড় ব্যবসায়ীরা নির্দেশ মানেন না’

তেল-চিনির দাম নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের বাজারে তেল চিনি প্রায় পুরোটাই আমদানি-নির্ভর। দেশের বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভোজ্যতেল আমদানি করে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের যে দাম ঠিক করে দেয়া হয়, সেটি তারা মানেন না। গত শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক ছায়া সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এসব বলেন মন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বাজারে উৎপাদন হয় মাত্র ১০ শতাংশ ভোজ্যতেল। বাকি ৯০ শতাংশ ভোজ্যতেল সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। তবে, যে পণ্যই আমদানি করা হোক না কেন ব্যবসায়ীদের মুনাফা রেখেই ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। তারপরও দেখা যায় অতি মুনাফার লোভে কিছু ব্যবসায়ী নির্দেশ অমান্য করে বেশি দামে পণ্য বিক্রয় করে। এ ধরনের ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে অসৎ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে, তাদের আইন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আবার শুধু আইন প্রয়োগ করে দমন করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকারকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকারের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকা দরকার। নিজস্ব কর্মকর্তাদের অথবা যারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন এ ধরনের কর্মকর্তাদের ভোক্তা অধিদপ্তরে পদায়ন করা যায়। তবে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনার জন্য যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন তা তাদের নেই। তাই জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আগে, গত মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা করে কমানো হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৯ টাকা ও ৫ লিটারের বোতল ৮৭৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা পাম তেল ১২৮ টাকা ও বোতলজাত পাম তেল ১৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত