ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে প্রয়োজনে আমদানি
বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আয়োজিত দেশব্যাপী ১ কোটি পরিবার কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের এই পরিকল্পনার কথা জানান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে ডিমের দাম কত হবে, তা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দিলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ডিমের বাজার হঠাৎ অস্থিতিশীল হওয়ায় ভোক্তা অধিকার রাজধানীর বিভিন্ন আড়তে অভিযান চালাচ্ছে এবং জরিমানা করছে। টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাইলেই ডিম আমদানি করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া ডিম আমদানি করার সুযোগ নেই। তাঁর আশা, খুব শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই ডিম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চিনি আমদানি করা ছাড়াও স্থানীয় বাজার থেকেও কেনা হয়। কারণ, অনেক সময় চিনি দেশে এসে পৌঁছাতে দেরি হয়, আবার জাহাজ বন্দরে এলে নানা জটিলতায় খালাসে সময় লাগে। এতে চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে বেগ পেতে হয়। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজার থেকে চিনি কেনা হয়।
ভারত থেকে কোটায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি মাসেই তিনি ভারত সফরে যাবেন এবং সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন, তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
টিসিবির মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক কোটি পরিবার কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ডাল, চিনি ও তেলের পাশাপাশি গত মাস থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চাল দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।